রাঙ্গা ডাকাত এখন সাধারণ একজন | রূপান্তরের গল্প ০৭ | Rupantorer Golpo 07 | দস্যুমুক্ত সুন্দরবন | সুন্দরবনের গল্প | Sundarbaner Goppo | Story of Sundarbans | মোহসীন উল হাকিম | Mohsin Ul Hakim
রূপান্তরের গল্প ০৭ : এই মানুষটার সঙ্গে প্রথম দেখা সুন্দরবনের মোহাম্মদ আলীর দোয়ায়। দোয়া মানে কয়েকটি খালের মোহনা। দস্যু সম্রাট রাজু বাহিনীর সদস্য রাঙ্গা। দস্যুতায় অনেক বছরের অভিজ্ঞতা। তবে একটু সরল প্রকৃতির। হাতে বন্দুক রাখেন ঠিকই কিন্তু সেভাবে যুদ্ধ করতে পারেন না। ভীতু প্রকৃতির মানুষ।
বনদস্যু রাঙ্গার আসল নাম মানজুর। বাড়ি মংলায়। প্রায় ছয় বছর পর আবারও দেখা হয়। এর মধ্যে অভন্তরীন এক বন্দুক যুদ্ধে হাতে গুলি লাগে। একটা হাত নষ্ট হয়ে যায়।
রাঙ্গার সঙ্গে সেবার দেখা হলো সুন্দরবনের নিশানখালীর ভিতরে। সারেন্ডারের জন্য নিতে গেলাম আমরা। অস্ত্রগুলো জমা করতে করতে রাঙ্গা কাছে এসে বসলেন। বলছিলেন যে সারেন্ডার না করে তাকে ছেড়ে দেয়া যায়? আমি বললাম আবারও ডাকাতি করতে নামবেন? যাই হোক। রাঙ্গা ভাইকে নিয়ে আসলাম।
একটা হাত নষ্ট বলে ভারী কোনো কাজ করদে পারেন না সাবেক এই বনদস্যু। নিয়মিত মসজিদে যান। মাঝে মাঝে দেখা হয়, কথা হয়। বলেন, সারেন্ডার না করলে আর বাঁচতেন না। অবৈধ পথে রোজগার করা টাকাগুলো বারো ভুতে খেয়েছে। সম্পদ গেছে যাক, অন্তত জীবনটা বাঁচুক!