রূপান্তরের গল্প ৩৬৪ | Rupantorer Golpo 364

ডাকাতির মাছ উপহারে যায়? | রূপান্তরের গল্প ৩৬৪

ডাকাতির মাছ উপহারে যায়? | রূপান্তরের গল্প ৩৬৪ | Rupantorer Golpo 364 | দস্যুমুক্ত সুন্দরবন | সুন্দরবনের গল্প | জীবনে ফেরার গল্প | Jibone Ferar Golpo | Sundarbaner Goppo | Story of Sundarbans | মোহসীন উল হাকিম | Mohsin Ul Hakim


রূপান্তরের গল্প ৩৬৪ : চিলা বাজার থেকে বেলায়েত সর্দারের ফোন। বলছেন, ও ভাই, জঙ্গলে নামবেন কবে? বললাম, সময় আসেনি। সামনে পশুর দিয়ে জঙ্গলে নামার সম্ভাবনা কম। যদি যাই তবে সাতক্ষীরার ওদিক দিয়ে নামবো, মংলা দিয়ে না। আপনার ট্রলার লাগবে না আপাতত। সর্দার বললেন, তাহলে আমি একটু সাগরে যাই। দুবলার চরের জেলেরা মহা আতঙ্কে আছে। ওরা যেতে বলছে। বললাম, আপনি একা যাবেন? ওদিকে যাওয়া আমাদের জন্য এখন নিরাপদ না। সর্দার বললেন, আমাদের আর কে কী বলবে ভাই? পথে কোনো সমস্যা হবে বলছেন?

জাহাঙ্গীর ডাকাতকে নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা আছে। পশুর নদীতে সে ঝামেলা করতে পারে। তবে সেটা পশ্চিম দিকের সমস্যা। পূর্ব পাশ দিয়ে চলাফেরা করলে সমস্যা হবে না। বললাম, ডাকাতরা কিছু করবে না ভাই। ডাকাতদের বড় ভাইরা ওঁৎ পেতে আছে। এখন আপনাকে একা ছাড়া যাবে না। একটু অপেক্ষা করেন। ট্রলার রেডি রাখেন। আমি জানাচ্ছি।

সাগর পাড়ের জেলে পল্লী দুবলার চর এখন থমথমে। বৈরী আবহাওয়ার জন্য না। এক জেলের মাছ ভর্তি ট্রলার অপহরণ নিয়ে শুরু। তারপর ঝড় বয়ে গেছে সুন্দরবনে। এমন ঘটনা অনেক দিন পর ঘটলো। বনদস্যুদের বিরুদ্ধে একটানা অভিযান চলছে, আত্মসমর্পণ শুরু হয়েছে। এসব নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিলো জেলেরা। ভেবেছিলো এবার হয়তো শেষ হচ্ছে আতঙ্কের দিন।

পাইকগাছার ওই জেলে চুপ করে গেছে। দুই লাখ টাকা দিয়ে শুধু ট্রলারটি ফেরত পেয়েছে। তারপর মহাজনদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা চলছে। দস্যু দমন নিয়ে অনাস্থা জানাচ্ছে তারা। জেলেদের উস্কানি দিচ্ছে। শুনলাম আত্মসমর্পণ বন্ধের দাবিতে গণস্বাক্ষর নেওয়ার পরিকল্পনা করছে কিছু মানুষ।

এদিকে আতঙ্ক বাড়ছে বন উপকূলে। ভয় ছড়ানো হচ্ছে দুবলার চরের জেলেদের মধ্যে। কম-বেশি চার দশকের অভ্যাস। সাগর-বনে জীবীকার সন্ধানে আসা মানুষগুলোর যেন কপালে সুখ নাই। একটা বিপদ গেলে আরেক বিপদ এসে ভর করে।

ভাবছি এখন দুবলার চরে একটা চক্কর দিয়ে আসি। হাতে তেমন কাজ নাই। বনদস্যু আলিফের কাছে যাওয়ার দিন-ক্ষণ ঠিক হয়নি। সর্দারকে ফোন করে বললাম, তৈরি হন। কাল সাগরে নামবো। সর্দার বললেন, কয়জন আসবেন আপনারা? বললাম, শুধু আমি যাবো। একা আসবো এবার। আপনি বাজার সদা করবেন গোপনে। কাউকে কিছু বলবেন না।

পরদিন সকালে ঢাকা ছাড়লাম। এবার আর অফিসের গাড়িতে নয়। বাসে রওনা হলাম। পিঠে একটি ব্যাগ, আর কিছু না। সকাল সকাল ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসে উঠলাম। ঘণ্টা দেড়েক এর মধ্যে মাওয়া। স্পিডবোটে পদ্মা নদী পার হলাম কয়েক মিনিটের মধ্যে। তারপর মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে খুলনার বাসে চড়লাম। দুপুরের আগেই নামলাম বাগেরহাটের কাটাখালী। সেখান থেকে একটি মটরসাইকেলে করে মংলা। খেয়া পার হয়ে আবারও মটরসাইকেল। আধা ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছে গেলাম চিলা বাজারে।

নদীতে ভরা জোয়ার। চাঁদের হিসাবে পঞ্চমী চলে। মানে গোন শেষের দিকে। দুবলার চরের জেলেরা সাগর থেকে ফিরবে। এখন দুবলায় গেলে অনেকের সাথে দেখা হবে।

সর্দারের ট্রলার নোঙ্গর করা চিলা খালে। আগে থেকে টুকটাক বাজার সদা করা ছিলো। তারপরও খোঁজ নিলাম। বললাম, দুধ চায়ের ব্যবস্থা আছে তো? এবার বেলায়েত সর্দারের সাথে মামুন বা শহীদুল কাকু থাকছে না। ওরা থাকলে এসব নিয়ে ভাবতাম না। সর্দারের সহযোগি হিসাবে এবার যাচ্ছে নতুন একজন। খোঁজাখুঁজি করে দেখা গেলো গুঁড়া দুধ নাই। পাশেই দোকান। সর্দার নামলেন। গুঁড়া দুধ নিয়ে ফিরলেন। আমরা রওনা দিলাম দুবলার চরের উদ্দেশ্যে।

যেতে যেতে খবর পেলাম, সাগর থেকে এগারো জেলে অপহরণ করেছে সুন্দরবনের দস্যুরা। ভাবছি, এখন আবার কোন বাহিনী সাগরে গেলো? ঠিক বুঝতে পারছি না কী হলো! আলিফ কিংবা জাহাঙ্গীর ছাড়া সাগরে যাওয়ার মতো দস্যু দল এখন নাই। জাহাঙ্গীর বেশ ঝামেলায়। তাহলে আলিফ ছাড়া এই অপকর্ম কে করবে?

আলিফের নাম্বারে ফোন দিলাম। নতুন নাম্বারটি বন্ধ। তবে পুরনো নাম্বার খোলা। ফোন ধরলো অন্য কেউ। জানতে চাইলাম, আলিফ কোথায়? ওপাশ থেকে কোনো উত্তর নাই। কেটে দিলো ফোন। আমরা পশুর নদী ধরে এগুচ্ছি। নেটওয়ার্ক থাকবে বড়জোর আর এক ঘন্টা। এর মধ্যে কাথাবার্তা যা বলার বলে নিতে হবে।

উত্তরা বাতাস বইছে। নদীর স্রোতও দক্ষিণে। তার সাথে যোগ হয়েছে ইঞ্জিনের গতি। তরতর করে এগিয়ে চলছি আমরা। ডেক ছেড়ে সামনে গেলাম। গলুইয়ে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছি। মিষ্টি রোদ, ভালোই লাগছে। কয়েক মিনিট পর চা আসলো। বললাম, দুপুরের খাবারের কী ব্যবস্থা? ছেলেটি বললো, বেলায়েত সর্দারের মা রান্না করে দিয়েছেন। ভাতের সাথে খাসির মাংস আর পাতলা ডাল।

চা নিয়ে গলুইয়ে বসলাম। একজন সোর্সকে শুধু জানালাম, সুন্দরবনে যাচ্ছি। এদিকের খোঁজ খবর রাখবেন। আলিফের সাথে কথা বলতে বললাম। সাগরের ডাকাতিটা কে করেছে সেই খোঁজও নিতে বললাম। একটু পর ফোন আসলো আলিফের নতুন নাম্বার থেকে।

খোঁজ করছিলেন বাপজান? আলিফের কণ্ঠ ওপাশে। বললাম, তোমার খোঁজ না নিয়ে উপায় আছে? এখন কোথায়? আলিফ বললো, জঙ্গলেই আছি বাপ। বললাম, কাল কোথায় ছিলে? সে বললো, একটু নিচের দিকে গেছিলাম, তালপট্টির নিচে। বললাম, তাহলে তুমিই কোপটা দিলে? পরশুই তো কথা বললাম। এর মধ্যেই সাগরে চলে গেলে? আলিফ বললো, সামান্য নিচে গেলাম। লোক তুলছি আটজন। কোথাাকার জেলে তারা? আলিফ বললো, ছয়জন দুবলার চরের জেলে। বাড়ি মংলা-রামপাল। আর দুইজন ইন্ডিয়ান। তার মানে সাগরে বাংলাদেশের দিকে ভারতীয় জেলেরাও আসে? আলিফ বললো, ভরপুর! বললাম, তুমি মরবে। তোমাকে বাঁচানোর কোনো লাইন দেখছি না! সে বললো, কেন বাবা? বললাম, কেন জানো না?

তোমাদের অপকর্মের কারণে পুরো সুন্দরবন আবার অস্থির হয়ে পড়েছে। চারদিন আগে পশুর নদীতে মাছ ভর্তি ট্রলার ডাকাতি হলো। তারপর তুমি আবার লোক তুললে! খবর পাচ্ছি এগারো জেলেকে তুলছো তোমরা। কিন্তু তুমি বলছো আটজন! কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা বুঝতে পারছি না।

সুন্দরবনে এমনিতে ভয়ের অভাব নাই। তবে বনদস্যুদের ভয়কে মোকাবেলা করা সত্যি কঠিন। কারণ এর সাথে জড়ানো বনজীবীদের রুটি-রুজি। দস্যুবহুল এই বনে ঝুঁকির শেষ নাই। সাধারণ ঝুঁকিগুলো মোকাবেলা করা জেলেদের কাছে ডাল-ভাতের মতো। বাঘ-কুমিরের মতো ভয়ঙ্কর বন্যপ্রাণিদেরও তারা সমঝে চলতে পারে।

জঙ্গল করা মানুষেরা জানে, পেট ভরা থাকলে বাঘ ওদের দেখেও হাঁটা দিবে। কিন্তু দস্যুদের সামনে পড়লে বিপদ এড়ানোর কোনো সুযোগ থাকে না। বলা হয়, বড় মহাজনদের সাথে থাকলে নাকী দস্যুরা ছাড় দেয়। তার মানে এই নয় যে চাঁদা দেওয়া লাগে না!

জঙ্গলে নামার আগে জেলেদের কাছ থেকে বন বিভাগের পাস পার্মিটের খরচ নেওয়া হয়। বন বিভাগের ঘুষের টাকাও ওই মহাজনের কাছেই জমা দেয় জেলেরা। সেই সাথে জমা দিতে হয় দস্যুদের চাঁদার টাকা।

চিহ্নিত কয়েকজন মহাজন বা মাছ ব্যবসায়ী টাকার লেনদেন করে। দস্যুদের চাঁদার স্লিপও দেয় তারাই। দস্যু ধরলে চাঁদার স্লিপ দেখাতে হয়। কখনও ওই মহাজনের নাম বললেও ছেড়ে দেয়। তবে দেখা হলে বনদস্যুদের কিছু টাকা দিতে হয়। এটাকে বলে ডিউটির টাকা। কখনও চাঁদা দিয়েও অপহরণের শিকার হতে হয়। তখন মহাজন তাকে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনে।

এরপর ওরা বলে, জেলেরা গরীব মানুষ। এমন ভাব যে মুক্তিপণের টাকাটা দিয়ে জেলেদের সাহায্য করেছে। পরে মাছের দাম থেকে মুক্তিপণের টাকা কেটে নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে বিষয়টি বেশ জটিল। গেলো কয়েক বছরে একটা জিনিষ বুঝেছি, বনদস্যুতার টাকা বারো ভুতে খায়।

ভদ্রা পেরিয়ে গেলাম। এরপর ধানসিদ্ধের চর, চাইলেবগীর ঠোঁটা। পশুর নদী এখানে বেশ ছোট হয়ে এসেছে। এই জায়গা থেকে দস্যুরা জেলেদের আক্রমণ করে। আমরা নদীর বাম পাশ ধরলাম। তারপর সর্দার এসে বসলেন। বললেন, খাবেন কখন ভাই? বললাম, মানুষ তো মাত্র তিনজন। হাতে হাতে খেয়ে নিলেই হবে। সর্দার উঠে গেলেন। ভাত বেড়ে আনলেন। গলুইয়ে বসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।

আগের চা টা খেয়ে মজা পাইনি ভাই। ছেলেটা নতুন তো! আরেক বার বানানো যায়? সর্দার বললেন, সে আমি বুঝছি। আপনি অর্ধেক চাও খাননি। তাই চুলায় গরম পানি তুলে দিয়ে খেতে বসছি। বলেই উঠে গেলেন বেলায়েত ভাই। মিনিট পাঁচের মধ্যে বানিয়ে আনলেন চা। তারপর দুই ভাই মিলে বসলাম গলুইয়ে।

সর্দার বললেন, ওই পাড় থেকে ট্রলারটা ধরে নিলো সেদিন। মানে পশুরে আমরা যেখানে আছি তার উল্টো দিকের কোনো জায়গা থেকে সেদিনের অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। বললাম, টাকা দিয়ে ট্রলারটা ফেরত পাইছে দুবলার ওই ব্যবসায়ী। কিন্তু মাছ পায়নি। এখন সে যোগাযোগের বাইরে। মানে ফোন বন্ধ। সর্দার বললেন, চরে গেলে পাবেন তাকে।

বিকাল গড়িয়ে গেছে। ট্রলার চলছে একটানা। সুকানিকে নতুন ছেলেটা দাঁড়ানো। ট্রলার ভালোই চালাচ্ছে। সর্দারকে বললাম, ডাকাতি করা মাছগুলো কোথায় বিক্রি হলো ভাই? কোনো খবর জানেন? সর্দার বললেন, কেড়ে নেওয়া মাছ আগে খুলনার আড়তেই উঠতো। কিন্তু এবার সেই সাহস করেনি। মাছগুলো কয়েক জন মিলে ভাগ করে নিছে শুনলাম। বললাম, মাছ তো অনেকগুলো ছিলো! না হলেও ৪০ মণ হবে!

সুন্দরবনের মাছ, কাঁকড়া আর মধু বেশ দামি সম্পদ। উপহার বা উপঢৌকন হিসাবেও বেশ। সুন্দরবনে দস্যুতা করা এসব জিনিষ নাকী উপহার হিসাবেই চলে যায়। সর্দার বললেন, বিক্রি করা মুশকিল। তাই ডাকাতির মাল আড়তে ওঠে না। কিছু লোক আছে, এগুলো তারাই নেয়। তারপর পাঠিয়ে দেয় বিভিন্ন জায়গায়।

বেলায়েত সর্দার শিক্ষিত না। তবে চিন্তা ভাবনা বেশ পরিস্কার। গল্পে বসলে জমিয়ে রাখতে পারেন। খবর রাখেন চারপাশের বিভিন্ন বিষয়ে। উনি বললেন, ধরেন মংলার একজন সাংবাদিক ঢাকায় তার বসকে মাছ-মধু পাঠায়। এখন বসকে তো কম করে কিছু পাঠানো যায় না। এই রকম মাছের লটের জন্য অপেক্ষা করে সে। তারপর ঘটনা ঘটলেই খোঁজ খবর শুরু করে। নির্দিষ্ট লোকজনের মাধ্যমে খোঁজ নিলেই চলে। পরিমাণ মতো মাছ চলে আসে। সেখান থেকেই সে যাকে উপহার পাঠানোর পাঠায়। মাছ বা মধুর যে দাম, কিনে পোষাতে পারবে? কয় টাকা বেতন পায় তারা?

যুক্তির কথা বলছেন ভাই। তার মানে উপহারের মাছগুলো এভাবেই আসে? সর্দার বললেন, এভাবে আসে, অন্য ভাবেও আসে। যেমন দুবলার ওই জেলের মাছগুলো ফেরত দেয়নি দস্যুরা। সেই মাছ আড়তেও বিক্রি হয়নি। তাহলে ট্রলার ভর্তি মাছগুলো গেলো কোথায়? সিস্টেমের ভিতর চলে গেছে, বুঝলেন? আবারও বললেন, ডাকাতি করা মাছগুলো কিছু মাছ ব্যবসায়ী বিনামূল্যে নেয়। সেই ব্যবসায়ীদের কাছে তালিকা থাকে। সেই অনুযায়ী মাছ চলে যায় জায়গা মতো।

সুন্দরবনের মাছ, কাঁকড়া, মধু উপহার হিসাবে দারুণ, ঘুষ হিসাবে বেশ কার্যকর! এর বেশি কিছু লিখলাম না। সবাই বুঝে!

সন্ধ্যা নামলো। অনেক বেশি শীত পড়েছে আজ। গলুই থেকে উঠে ডেক এর ভেতরে গিয়ে বসলাম। আরও ঘণ্টা খানেক চললো ট্রলার। তারপর চারপাশ ঢেকে গেলো ঘন কুয়াশায়। শীতকালে এই এক সমস্যা। সর্দারকে বললাম, কী করবেন এখন? আগাবো নাকী এদিকে কোথাও নোঙ্গর করবেন? সর্দার বললেন, তাড়া থাকলে চালায়ে যাবো। কুয়াশায় আর আমার সমস্যা কী? রাতের বেলা চোখে কিছুই দেখি না, আন্দাজের উপর চালাই। বলেই সেই হাসিটা দিলেন!

আমাদের তাড়া নাই। তাই ঝুঁকি নেওয়ারও কোনো প্রয়োজন নাই। সামনে চরাপূঁটিয়ার দ্বিতীয় খাল। বললাম, খালে ঢুকে নোঙ্গর করেন। কুয়াশা কাটলে আবার রওনা দিবো।

(জানুয়ারি ২০১৭, সুন্দরবন)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top