এখনও সাগরেই কিবরিয়া, তবে হাতে বন্দুক নাই, আছে জাল-দড়ি | রূপান্তরের গল্প ০৪ | Rupantorer Golpo 04 | দস্যুমুক্ত সুন্দরবন | সুন্দরবনের গল্প | Sundarbaner Goppo | Story of Sundarbans | মোহসীন উল হাকিম | Mohsin Ul Hakim
রূপান্তরের গল্প ০৪ : কিবরি নামে ছোটবেলা থেকে চিনতাম তাকে। সুন্দরবনের জোংড়া-ঝাপসি খালে মাছ ধরতে যেতো। তারপর কয়েক বছর দেখা নাই।
হঠাৎ একটা দস্যুদলের খবর পাচ্ছিলাম ২০১৭ সালের দিকে। শুনলাম সেই দলে ভিড়েছে কিবরিয়া। আকৃতিতে ছোটখাটো হলেও সেই দস্যু দলের সবচেয়ে সক্রিয় যোদ্ধা ছিলো সে। হাতে একটা পয়েন্ট টু টু বন্দুক নিয়ে কিবরিয়া ঘুরতো সুন্দরবনের এপাশ ওপাশ।
এই দলের একটা সমস্যা ছিলো। এরা প্রায় সবাই সুন্দরবন আর সাগরে মাছ ধরতো। তাই আশেপাশের কোনো জেলেকে অপহরণ করতে পারতো না। সবাই পরিচিতি। তাই দূরের লোকজনকে টার্গেট করতো তারা।
অনেক সময় লেগেছিলো কিবরিয়াদের সারেন্ডার করাতে। টানাপোড়েনের শেষ ছিলো না। অনিশ্চয়তায় ভরা ছিলো সময়টা। কিন্তু সারেন্ডডার করবে বলে কিবরিয়া পুরো দলকে সংগঠিত করে রেখেছিলো।
আত্মসমর্পণের পরও টানাপোড়েনের জীবন চলছে কিবরিয়ার। তবে সেই মৃত্যু আতঙ্ক আর তাড়িয়ে বেড়ায় না এখন। কিবরিয়া ফিরেছে তার সেই আগের পেশায়। মাছ শিকারে। সুন্দরবন আর সাগরে মাছ ধরতে দেখি তাকে। রূপান্তরিত এই জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট কিবরিয়া। কষ্ট হচ্ছে অনেক। অপরাধ জীবনের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে সেই কষ্টকে মেনে নিয়েছে কিবরিয়া।