আলম সরদার ধরা দিয়েছিলেন সহজেই | রূপান্তরের গল্প ০৮ | Rupantorer Golpo 08 | দস্যুমুক্ত সুন্দরবন | সুন্দরবনের গল্প | Sundarbaner Goppo | Story of Sundarbans | মোহসীন উল হাকিম | Mohsin Ul Hakim
রূপান্তরের গল্প ০৮ : পশ্চিম সুন্দরবনের দস্যুনেতা আলম সরদারের কথা জানতাম। কিন্তু বেশ কিছুদিন তিনি আত্মগোপণে। ২০১৬ সালের কথা। তখন মাস্টার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে। মজনু বাহিনীর সঙ্গে কথা চলছে।
এরই মধ্যে আলম বাহিনীর নতুন করে আবির্ভাব। পশ্চিম সুন্দরবনের পশুর তলা, মালঞ্চ, টাট, ফিরিঙ্গি মিলিয়ে চলাফেরা করছে তারা। খবর পাঠালাম। প্রথম দিকে উত্তর আসেনি। কারণ বড় করে দস্যুতা শুরুর পরিকল্পনা আঁটছিলেন আলম। সাগরে একটা বড় অভিযান করে তারপর আসবে সারেন্ডারে। আমিও নাছোরবান্দা। খোঁজ রাখছিলাম প্রতি মুহুর্তের। তারপর সেই সাগর অভিযান বানচাল করে দেই। একটা বড় অস্ত্রের চালান কেনার চেষ্টা ছিলো তার। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। সেই গল্প আরেকদিন শোনাবো।
এবার নিজ থেকে যোগাযোগ করেন আলম। সময় নেননি। দিন তারিখ ঠিক করে রওনা হই। সাতক্ষীরা সুন্দরবন থেকে উঠিয়ে আনি আলম বাহিনীকে। সঙ্গে নিয়ে আসি অস্ত্র আর গুলিগুলো।
আত্মসমর্পণের পর সোজা জেলখানা। জামিনে বের হয়ে একটা পুরনো থ্রি হুইলার কিনেন। ওই দিন থেকেই ভাড়া টানতে শুরু করেন শ্যামনগরের পথে পথে।
অতীতের অপকর্মের জন্য অনুতপ্ত আলম আর কখনো কোনো অপকর্মে জড়াননি। নিয়মিত যোগাযোগে থাকেন। অল্প রোজগার দিয়ে মামলা চালানো কঠিন। তবে খেয়ে না খেয়ে নিয়মিত হাজিরা দিয়েছেন বিভিন্ন মামলায়। সম্প্রতি সরকার তাদের মামলা প্রত্যাহার করেছে। তাই বাকীটা জীবন একটু স্বাচ্ছন্দে কাটানোর সুযোগ পেলো আলম সরদার ও তার মতো দস্যুতা ছেড়ে আসা মানুষেরা।