বন্দুকের গুলিতে উড়ে গেলো দস্যু রিপনের হাত | রূপান্তরেরগল্প ১০ | Rupantorer Golpo 10 | দস্যুমুক্ত সুন্দরবন | সুন্দরবনের গল্প | Sundarbaner Goppo | Story of Sundarbans | মোহসীন উল হাকিম | Mohsin Ul Hakim
রূপান্তরেরগল্প ১০ : রিপন শরীফের বাড়ি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে। পূর্ব সুন্দরবনের বড় সুমন বাহিনীতে ছিলেন। দস্যুনেতার বড় ভাই হিসাবে বেশ দাপট ছিলো তার। সুন্দরবনে দুই দফা দেখা হয়েছে এই বনদস্যুদের সঙ্গে। নিজেদের মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতি ছিলো। ছিলো রক্তপাতের ইতিহাস। তাই যখনই এই গ্রুপের সঙ্গে দেখা করতে গেছি, ঝুঁকি ছিলো পুরোটা সময় জুড়ে।
সারেন্ডারের জন্য যেদিন আনতে যাবো সেদিন ভোরবেলায় গোলাগুলি হয়। নিজেদের মধ্যে। সাত্তার নামের এক দস্যু রিপন শরীফকে গুলি করে পালিয়ে যায়। একটি হাত নষ্ট হয়, কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে যায় রিপন। গুলিবিদ্ধ সেই জলদস্যুকে জঙ্গল থেকে এনে চিকিৎসা করানোটা ছিলো বিরাট ঝুঁকির কাজ। ধরা পড়লেই এনকাউন্টার।
গোপনে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে কিছুদিন বাড়ি ছিলেন তিনি। ভেবেছিলাম রিপন শরীফ জীবনে ফিরলো। কিন্তু বেশি দিন সেটা টিকেনি। সাবেক দস্যু হিসাবে এনকাউন্টারের ঝুঁকি বাড়ছিলো। পরে আবারও দস্যুতায় ফিরে যেতে হয়। পরে আরেকটি দস্যু দলের সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
হাত নষ্ট বলে ভারী কোনো কাজ করতে পারেন না রিপন। মামলাগুলো চালাতে তাই হিমসিম খাচ্ছিলেন। সম্প্রতি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশা করি রিপন শরীফদের আর বিপথে যেতে হবে না।