ডিমের চরের হেঁতালের মাথিন | রূপান্তরের গল্প ২৮৩ | Rupantorer Golpo 283 | দস্যুমুক্ত সুন্দরবন | সুন্দরবনের গল্প | জীবনে ফেরার গল্প | Jibone Ferar Golpo | Sundarbaner Goppo | Story of Sundarbans | মোহসীন উল হাকিম | Mohsin Ul Hakim
রূপান্তরের গল্প ২৮৩ : মরণ চরের ঠোঁটা। দুবলার চরের পশ্চিম প্রান্তের চর। সেখানে দাঁড়িয়ে আস্ত একটি ভাঙ্গন মাছ হাতে নিয়ে উল্লাস করছি। একটু আগে ঘোষণা দিয়ে একজন মাছটি ধরেছেন। এতো বড় খালে ঝাঁকি জাল দিয়ে বড় মাছ ধরা সহজ কাজ না। সুন্দরবনের মানুষদের এমনিতেই ভালো লাগে। তার ওপর মাঝে মাঝেই তারা চমকে দেয়।
সুন্দরবনের সৌন্দর্য বলতে আমার কাছে শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য না। এই বনের ওপর নির্ভরশীল মানুষদের উচ্ছাসের মধ্যেও সৌন্দর্য আছে। ঘামে ভেজা মুখগুলোতে যখন হাসি দেখি সেটিও অসামান্য মনে হয়।
তারা জাল ফেলে। ভালো মাছ পেলে চোখগুলো চক চক করে ওঠে। বেশি মাছ পেলে আনন্দ হয়। জাল থেকে মাছ ছাড়ানো, পরিস্কার করে বরফে রাখা, তারপর এক কাপ রঙ চা খাওয়া, সব কিছুর মধ্যে এক রকমের আনন্দ আছে। অবশ্য আনন্দে ভাটা পড়ে এর পর থেকেই।
এবার মাছ নিয়ে যায় মহাজনের ভরের নৌকা বা ট্রলার। যখন জিজ্ঞেস করি মাছের দাম কেমন? জেলেরা বলে, তা কে জানে? মৌসুম শেষে জানা যাবে মাছের রেট কতো করে পড়লো। এসময় হারিয়ে যায় হাসি। চোখের কোণে, কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ প্রসারিত হয়।
জেলেদের কেউ কেউ বলে, আমাদের কাজ মাছ ধরা। দামের ব্যাপারটা ওই সাহেবরাই ঠিক করে দেয়। যখন বলি এই মাছ তো আমরা অনেক বেশি দামে কিনি। জেলেরা উত্তর দেয় না। বলে এই জঙ্গল-সাগরে মাছ ধরতে পারছি এতেই খুশি আমরা।
এতো অল্পতে খুশি হওয়া জনগোষ্ঠী আর কোথাও আছে? আমি দেখিনি। এই যে পরিবার ছেড়ে দিনের পর দিন বনের ভেতরে জীবন যাপন। এই যে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে মাছ ধরার চেষ্টা। কতো রকমের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের দিন কাটে, অথচ মাছের দাম পাওয়া নিয়ে কিছু বলতে পারে না। দীর্ঘ বঞ্চনায় তাঁরা অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। মাছের বাজার দর পাওয়া নিয়ে তাদের দর কষাকষির সুযোগ ও অভ্যাস দুটোই এখানে অনুপস্থিত।
বনজীবীদের নিয়ে কাজ করতে হলে এই বিষয়টি নিয়েও কাজ করতে হবে। বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের পাশাপাশি আওয়াজ তুলতে হবে জেলেদের ওপর চালানো নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে। সেই কাজ অনেক কঠিন। হয়তো ব্যর্থ হবো। তাআ বলে কাজ শুরু করবো না তা হবে না। এদিকের মানুষ একটি কথা বলে- মরবো বলে করবো না, বাঁচলে খাবো কী?
বেলায়েত সরদারকে বললাম, এই ভাঙ্গন মাছ তো উপহার হিসাবে পেয়েছি। এর দাম কী করে দেই? এরা সবাই গরীব মানুষ। একটা মাছের দাম দিয়ে হয়তো তাদের এক বেলার খাবার খরচ উঠতো। সরদার বললেন, মাছের দাম দিতে গেলে ওই লোক মন খারাপ করবে। এছাড়া সুন্দরবনে কোনো মাছের এতো দাম নাই যে একটা মাছের দাম দিয়ে এক কেজি চাল কেনা যাবে। চিংড়ির দাম নাই। সাদা মাছের দামও সর্বোচ্চ ৭০-৮০ টাকা কেজি। তারপর আবার চলে ওজনের কারসাজি। জেলেদের দাদনের শর্তের ভেতরেও আছে নানা রকমের কৌশল।
ধরেন একজন বড় মাছ পেলো। দামি মাছ। কিন্তু আড়তে বিক্রির পর বলা হবে যে মাছ নরম হয়ে গেছে। দাম পাওয়া যায়নি। এখন আড়তে এর দাম আসলে কতো ছিলো সেটি জানার উপায় নাই। চোখ বন্ধ করে তারা মাছ দেয়। মুহুরি এসে মেপে নেয়। তাদের কাছেই খাতাটি থাকে।
এক জেলে বললো, দাম কম দেওয়ার হাজারও কারণ আছে। দাম বেশি দেওয়ার কোনো লাইন নাই। এছাড়া এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে নির্যাতনের শিকার হতে হবে। এই জঙ্গলে প্রতিবাদ করে লাভ হয় না। বরং মহাজনের চাপে জঙ্গল ছাড়া লাগে। এখন আমরা এই জঙ্গল করেই দুই পয়সা রোজগার করি। আর কোনো কাজ শিখিনি, এদিকে আর কোনো কাজও নাই।
আসলে বিষয়টি বেশ জটিল। এক দিনে সমাধান আসবে না। বরং আপাতত বনদস্যুদের নিয়ে কাজটি এগিয়ে নিতে হবে। আমি একজন মানুষ। দেশের একজন সাধারণ নাগরিক। সাংবাদিকতা করি। বিভিন্ন সময় সংবাদে এই নিপীড়নের কথা তুলে ধরি। কিন্তু তাতে খুব বেশি কাজ হয় না। বরং জঙ্গল-সাগরের বড় সাহেবরা বলেন, জেলেদের কাছে থেকে টাকা নিয়ে আমি এই নিউজ করি। এদের বিরুদ্ধে যাদের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তারাও চুপচাপ থাকেন। জানি না তার কারণ কী!
ভাবছি, চর ছাড়তে হবে। দুবলার চরে বেশ কয়েকদিন থাকা হলো। এদিকে প্রায় সপ্তাহ পার হয়ে গেছে সুন্দরবনে। ফিরতেও হবে। অফিস আছে। আবার বনদস্যুদের নিয়ে কাজগুলোও এগিয়ে নিতে হবে। নোয়া বাহিনী নামের দস্যুদলটি সাগর থেকে ১৭ জন জেলেকে অপহরণ করেছে। এবিষয়ে সংবাদ করতে হবে। খোঁজ খবরও নিতে হবে। শুনছি বনের ভেতরেও বেশ কয়েকটি দস্যুদল অপহরণ বাণিজ্য করছে।
বেলায়েত সরদারকে বললাম এই জোয়ারে ট্রলার ছাড়া যায় কী না দেখেন। শেষ জোয়ারে চেষ্টা করেন। সরদার বললেন, ট্রলারের তলা পর্যন্ত পানি আসলে পারা যাবে। তবে এই জোয়ারে বের না হয়ে রাতের জোয়ারে বের হওয়া ভালো। বললাম, তাহলে এখন আর ঝামেলা না করি। সরদার বললেন, দুপুরের রান্নাটা সেরে ফেলি তাহলে। জানতে চাইলাম কী হবে আজ? সরদার বললেন, ভাঙ্গন মাছের একটা হাল্কা ভুনা হবে। সাথে থাকবে চিংড়ি মাছের ঘটি গরম।
রোদ উঠেছে। সূর্য প্রায় মাথার ওপর। তার মানে দুপুর ১২টা বাজে প্রায়। গোসল করবো। কিন্তু এখানে খালের পানি খুব বেশি পরিস্কার না। সাগর থেকে আনা মাছ এখানে ধোয়া হয় বলে পরিবেশটা ঠিক মনের মতো না।
মামুন বললো, খালের ওই পাড়ে গিয়ে গোসল করবো ভাই। রান্নাটা শেষ হোক। তারপর একটা ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে খাল পাড়ি দিবো। ওই পাশে যে চরটি আছে তার নাম ডিমের চর।
ট্রলারের পাটাতনে মাছ কাটতে বসেছেন বেলায়েত সরদার। ভাঙ্গন মাছটি সুন্দর করে ধুয়ে নেওয়া হলো। তারপর হাল্কা হলুদ, মরিচের গুঁড়া আর লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখা হলো। সরদার বলেন, মাছ মেরিনেট করলাম ভাই। আমি তো অবাক! মেরিনেট করার বিষয়টি প্রচলিত। কিন্তু এর ইংরেজি যে ‘মেরিনেট’ সেটাও জানেন?
সরদার বললেন, পড়াশোনা না করলে কী হবে ভাই, ইংরেজি কম জানি না। এছাড়া রান্নার প্রতি আমার ঝোঁক আছে। নানা ভাবে রান্না করি। রান্না নিয়ে গবেষণা করি আমি।
অবাক হয়ে মাছ কাটা দেখছি। সরদারের পাশে মামুনও বসেছে। একসাথে তারা চিংড়ি মাছগুলো পরিস্কার করছে। একটু আগে খাল থেকে ধরা চিংড়ি। তখনও ছটফট করছে। চাকা, চালি, হরিণা আর কাঁঠালী চিংড়ি।
সরদার বললেন, এর মধ্যে চাকা চিংড়ি মিষ্টি। আর স্বাদ বেশি কাঁঠালী চিংড়ির। যদি কারও চিংড়িতে এলার্জি থাকে তাহলে কাঁঠালী খাওয়া যাবে না। এই মাছের স্বাদ বেশি, এলার্জিও বেশি। বললাম, আমাদের কারও চিংড়িতে এলার্জি নাই। আপনি রান্না করেন।
রান্নাঘরে চুলা জ্বলেছে। একটু আগে চা তুলেছেন শহীদুল কাকা। এরপর উঠবে ভাত। তারপর উঠবে ভাঙ্গন মাছ। এক পাকে সেটি রান্না হবে। থাকবে হাল্কা ঝোল। এরপর উঠবে চিংড়ির ঘটি গরম। ভালো করে চিংড়িতে মসলা মাখিয়ে রাখা হলো। এরপর একটি ডিঙ্গি নৌকা আনা হলো ট্রলারের পাশে। শহীদুল কাকা রান্না করবেন। আমরা যাবো ডিমের চরে।
সুন্দরবনে যে কয়টি সুন্দর জায়গা দেখেছি তার মধ্যে একটি এই ডিমের চর। পশুর নদীর মোহনায় এর পাশ জুড়ে সাদা বালির চর। তারপর আছে ছোট ছোট গাছের সারি। হরগজা, গেওয়া আর গড়ানের ঝোপ পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলেই পড়বে এই চরের সবচেয়ে সুন্দর জায়গাটি।
বিশাল এক সবুজ মাঠ। মাঝে মাঝে কয়েকটি বড় গাছ আছে। ঠিক মাঝখানে আছে একটি পানির কুয়া। এদিকের জেলেরা এই কুয়া থেকে খাওয়ার পানি নেয়।
কয়েকজন জেলেকে দেখলাম কুয়া থেকে পানি তুলছে। আমরাও এগিয়ে গেলাম। পরিচিত ওরা। পশ্চিম সুন্দরবনে দেখা হয়েছিলো গেলো বছর। বাড়ি শরণখোলা। আমাকে দেখে হাসিমুখে এগিয়ে এলো। এক দফা পানি তুলে তারা বসে আছে। একটু পর আবার যখন কুয়ার পানি জমবে তখন আবার তোলা হবে। এভাবে সাথে করে আনা পানির ড্রামগুলো ভরে ট্রলারে ফিরবে তারা।
কুয়ার পাশে হেঁতাল গাছের কাটা ডাল-পাতা পড়ে আছে। সাদা রঙ এর কিছু খাচ্ছে তারা। জানতে চাইলাম, কী খাচ্ছেন আপনারা? একজন বললো, হেঁতালের মাথিন। বলেই এক টুকরো আমার দিয়ে এগিয়ে দিলো একজন। মুখে দিলাম। স্বাদ বেশ ভালো। জেলেরা বললো, একটু দাঁড়ান। নতুন একটা মাথিন কেটে দেই। বলেই হাঁটা দিলো সে। পেছনে পেছনে আমিও গেলাম।
আস্ত একটা হেঁতাল গাছ কেটে ফেললো সে। তারপর মাথার অংশ কাটতে কাটতে ভেতরের সাদা অংশ বের করলো। আস্ত একটি গাছ কেটে ছাঁটতে ছাঁটতে ছোট্ট একটি অংশ বের করা হলো। এটুকুই খাওয়ার জিনিষ। এর নামই হেঁতালের মাথিন। একই রকমের জিনিষ দেখেছিলাম গ্রামে। খেজুর গাছের মাথিন। তবে হেঁতালের মাথিন প্রথম দেখলাম। খেলামও প্রথম।
বিশাল এই জঙ্গলে খাওয়ার জিনিষ খুব কম। পেট ভরানোর মতো তেমন কোনো ফল নাই। গোল ফল খাওয়া যায়। আর খাওয়া যায় বাউলা ফল। সেই ফলও সব জায়গায় পাওয়া যায় না। এর বাইরে বনের ভেতরের খালের চরে এক জাতের শাক দেখা যায়। জেলেরা মাছের সাথে মিলিয়ে রান্না করে।
হেঁতালের মাথিন খেতে ভালোই লাগলো। কিন্তু এটি সংগ্রহের বিষয়টি মোটেই ভালো লাগলো না। সামান্য একটু খাবারের জন্য আস্ত একটি গাছ কেটে ফেলা কোনো ভাবে সমর্থন করা যায় না। জেলেরা বলে, সুন্দরবনে লাখ লাখ হেঁতাল গাছ। দুই-চারটা কাটলে কিছু হয় না।
বললাম, সুন্দরবনে যদি দশ হাজার মানুষ থাকে। সবাই যদি দিনে একটা করে মাথিন খায়। তাহলে তো দিনে দশ হাজার গাছ কাটা পড়বে। এভাবে গাছ কাটলে সুন্দরবন শেষ হতে সময় লাগবে? জেলেরা বললো, আমাদের ওপরই সব নিয়ম কানুন ভাই। গরীবের সামনেই সব আইন। বড়লোকেরা যা ইচ্ছা করে। কিছুই মানে না। তাদের কেউ কিছু বলেও না।
জানতে চাইলাম, ডাকাতে ধরে নেওয়া জেলেদের কী খবর? এদের কাছেও একই খবর। ১৭ টি ট্রলার থেকে ১৭ জন জেলে অপহরণ করেছে নোয়া বাহিনী। প্রত্যেকের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ চাচ্ছে। দর কষাকষি চলছে। ১৭ জনের কাছ থেকে দুই লাখ করে নিলেও ৩৪ লাখ টাকা। এতো টাকা জেলেরা দিবে কোত্থেকে?
জেলেরা বললো, সূদে টাকা ধার নিয়ে দিতে হবে। আমাদের তো কেউ বিনা সূদে টাকা দেয় না। এক ডাকাতে ধরে। তাদের মুক্তিপন দেই। তারপর সূদের মহাজনের পাল্লায় পড়ি। এক দস্যুর হাত থেকে আরেক দস্যু জিম্মি করে। এরপর সূদ টানতেই থাকি, টানতেই থাকি। আসল আর শোধ করা হয় না।
গল্প করতে করতে বের হয়ে আসলাম। চরের উত্তর-পূর্ব দিকে গভীর বন। এদিকে বাঘের চাপও বেশি। তাই দ্রুত ফিরে আসলাম নদীর পাড়ে। পরিস্কার জায়গা দেখে নেমে পড়লাম। গোসল সেরে উঠলাম নৌকায়।
খাল পাড়ি দিতে সময় লাগে না। কিন্তু স্রোত এখন তীব্র। জোয়ার আছে আর ঘন্টা খানেক। ফিরে দেখি রান্না শেষ। এদিকে হাঁটাহাঁটি আর সাঁতার কেটে ক্লান্ত আমরা। ভীষণ ক্ষুধার্তও। সময় নষ্ট না করে একসাথে খেতে বসলাম।
খাওয়া শেষ করতে করতে জোয়ার শেষ হলো। পানি এসেছে। কিন্তু ট্রলার ভাসেনি। বললাম, চলেন সবাই মিলে একটু চেষ্টা করি। চর থেকে অন্যরা এসে হাত মিলালো। কিন্তু এক ইঞ্চিও নড়লো না ট্রলার।
বালির চরে এমন ভাবে আটকে গেছে যে পানিতে না ভাসিয়ে ট্রলার সরানোর উপায় নাই। অবশ্য জেলেরা বললো, রাতের জোয়ারে পানি একটু বেশি থাকবে। তখন ভাসানো যাবে ট্রলার। হিসাব করে দেখলাম সেই জোয়ার আসতে আসতে রাত দুইটার মতো বাজবে।
কী আর করা! কিছু জিনিষপত্র নিয়ে আবার নেমে পড়লাম মরণ চরে। অনেক বছর আগে এক জলোচ্ছাসে নাকী অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো। এই চরেই নাকী তাদের কবর দেওয়া হয়। ঘটনাটি সম্ভবত ১৯৮৮ সালের। চর ধরে হাঁটছি আর ভাবছি, আমাদের পায়ের নিচে কতো শত লাশ! গা ছমছম করছে।
ভাবছি, কতো মানুষের আহাজারির সাক্ষী দুবলার চর! কতো মানুষের ঘাম আর চোখের জল মিলেমিশে গেছে এই চরে! আর কিছু না পারি এই খবরগুলো তো তুলে ধরতে পারি। বঞ্চনার কথাগুলো বিশ্বসাসীকে না জানালে নিজের কাছেই অপরাধী হয়ে থাকবো সারা জীবন।
(ছবি: দুবলার চরের ডিমের চর, নভেম্বর ২০১৬)