কে এই বেলায়েত সর্দার? | রূপান্তরের গল্প ৩৪৮ | Rupantorer Golpo 348 | দস্যুমুক্ত সুন্দরবন | সুন্দরবনের গল্প | জীবনে ফেরার গল্প | Jibone Ferar Golpo | Sundarbaner Goppo | Story of Sundarbans | মোহসীন উল হাকিম | Mohsin Ul Hakim
রূপান্তরের গল্প ৩৪৮ : মনে হচ্ছে অনেক বড় একটি বিয়ে বাড়ি। সুন্দরবনের ভেতর এমন আলোকসজ্বা চিন্তাই করা যায় না। নির্দিষ্ট বিরতি দিয়ে বাতিগুলো জ্বলছে, নিভছে। ভাবছি জোনাকিগুলো এতো নিখৃঁৎ টাইমিং করছে কী করে?
বড় কানছিঁড়া খালের দুই পাশের গাছ ভর্তি জোনাকি পোকা। ভাটায় রাতের অন্ধকারে জোনাকির এই জ্বলা-নেভা অদ্ভুত পরিবেশ তৈরী করেছে। আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। ছবি তোলার চেষ্টা করছি। কিন্তু চোখে যা দেখছি তা লেন্স-এ আসছে না কিছুতেই। তারপর ক্যামেরা রেখে বসে পড়লাম। প্রকৃতির এই অশরীরী সৌন্দর্য উপভোগ করছি মন ভরে।
ওদিকে সর্দার কাকে যেন বকাঝকা করছেন। তাকিয়ে দেখি পাতিল ভর্তি ভাত খালে ফেলছে মামুন। কী হলো আবার? সর্দার বললেন, ভাতের মধ্যে পোকা পড়ছে ভাই। ওরা আলো জ্বালাইছে। কিন্তু ভাতের পাতিলে ঢাকনা দেয়নি। এদের কোনো আক্কেল জ্ঞান আছে? কয়টা ভাতের জন্য আমরা কী যুদ্ধটাই না করি! সেই ভাত নদীতে ফেলতে ভালো লাগে? বললাম, ট্রলারে এতো কাজ! হয়তো খেয়াল করেনি। এছাড়া আগের দিনগুলোতে এতো পোকা ছিলো না। সর্দার বললেন, জঙ্গলে এসে বেখেয়াল হলে হয় না ভাই। ধরেন এটুকু চালই ছিলো আমাদের। তাহলে কী হতো?
সত্যিই, সুন্দরবনে কোনো কিছু নিয়ে হেলাফেলা করা যায় না। এখানে কোটি টাকা দিলেও এক ছটাক চাল কিনতে পারবো না। এখানে খাবার পানি ফুরিয়ে গেলে পয়সা খরচ করে কোনো কাজ হয় না। সুন্দরবন যেমন অনন্য সুন্দর। তেমনই এই বন তার প্রতিরক্ষার সব ব্যবস্থা করে রেখেছে। চাইলেই এখানে যা ইচ্ছা করা যায় না। চাইলেই জীবন বাঁচানোর সব উপকরণ পাওয়া যায় না। বরং এখানে যাতে কেউ সহজে ঢুকতে না পারে তার সব ব্যবস্থা আছে। প্রতিবন্ধকতাগুলো জঙ্গলে না নামলে বুঝা যায় না।
সর্দারকে থামালাম। বললাম যা হওয়ার হয়ে গেছে। নতুন করে ভাত রান্না করলেই হবে। আমরা তো এই রাতটাই আছি। সর্দার বললেন, ভাত নষ্ট করতে দেখলে মাথা ঠিক থাকে না ভাই। ভাত নিয়ে সর্দারে তার জীবনের একটি গল্প বললেন।
ছোটবেলার কথা। বয়স তখন ১২-১৩ হবে। বাবা, মা আর তিন ভাই বোনের সংসার। পশুর নদীর পাশে ছিলো ঘর। ভেঙ্গে যাওয়ার পর নতুন করে অন্যের জমিতে ঘর তুলেছে তারা। হঠাৎ তার বাবা আরেকটি বিয়ে করে ফেলেন। পরিবারের বড় ছেলে হিসাবে সংসারের দায়িত্ব সেদিন থেকেই তার কাঁধে এসে পড়ে। ঘরে চাল নাই। ভাই, বোন আর মাকে নিয়ে জীবন চলবে কী করে?
স্কুল ছাড়তে হয় সেদিন থেকে। অভুক্ত স্বজনদের ভাতের ব্যবস্থা করতে করতে হবে। তখন সুন্দরবন উপকূলে তীব্র অভাব। প্রতিটি ঘরেই টানাটানি। স্থানীয় গাছ পাচারকারীদের সাথে কথা বলে তিনি নেমে পড়েন সুন্দরবনে। তখন সুন্দরবনের গাছ কাটা ছিলো সাধারণ বিষয়। গাছ বিক্রিও হতো খোলামেলা।
সর্দার বলছেন, চিলা খাল থেকে শুরু ভাই। সেই রাতেই নদী পাড়ি দিয়ে সুন্দরবনের করমজলে ঢুকে পড়ি। গাছ কাটা সেই পার্টিতে কম-বেশি ২০ জন লোক ছিলো। তার মধ্যে আমি সবচেয়ে ছোট। ওরা আমাকে বেশ আদর যত্ন করছিলো। বনে ঢুকে রাতে গাছ কাটা হয়। ওদিকে সুন্দরী গাছের বিশাল বন ছিলো। কাজ শেষ হলো ভোরবেলা। আমি ভাগে পাইলাম দুইটা গাছ।
বললাম, দুইটা গাছ নিয়ে কী করলেন? সর্দার বললেন, সে আরেক কাহিনী ভাই। গাছগুলো সাইজ করে যার যেটা সেটা তাকেই নিতে হয়। তারপর পশুর পাড়ি দিয়ে আসা লাগে। বললাম, আপনি তো ছোট মানুষ। আস্ত দুইটা গাছ নিলেন কী করে? সর্দার বললেন, করমজলের নামায় যে ছোট খালটা আছে সেই খালে পানি ছিলো। ঠেলে ঠেলে কোনো রকমে পশুর নদীতে আনছি। তারপর গোলের ভুরা কাটলাম দুইটা। বললাম, গোলের ভুরা কী? সর্দার বললেন, গোল গাছের গোঁড়া। পানিতে শোলার মতো ভাসে। গাছ দুইটা বাঁধলাম। দুই মাথায় দুইটা গোলের ভুরা বেঁধে ভাসায়ে দিলাম। একটার সাথে নিজেকে গামছা দিয়ে বেঁধে ভাসান দিলাম।
একটানা বলছেন বেলায়েত সর্দার। আমি অবাক হয়ে শুনছি। এমন হাসিখুশি একজন মানুষের জীবনটা কতো কঠিন ছিলো! তারপর কী করলেন? জানতে চাইলাম। সর্দার বললেন, তার পর আর কোনো টেনশন ছিলো না ভাই। পশুরে তখন জোয়ার চলে। স্রোতে ভাসান দিয়ে আমি গোলের ভুর ধরে ভাসতে থাকলাম। ঘন্টা দুই লাগলো পার হতে। তারপর চিলা বাজারে পৌঁছালাম। তখন সকাল ৭টা বা ৮টা বাজে। নদীর পাড়েই গাছের ব্যবসায়ী বসা। দুইটা সুন্দরী গাছের দাম দিলো তিনশ টাকা। ওই টাকা দিয়ে চাল কিনলাম। তারপর বাড়ি গেলাম। একদিন পর ঘরের সবাইকে নিয়ে ভাত খেলাম।
নির্বাক আমি। কী বলবো বুঝতে পারছি না। সর্দার বললেন, শুধু তাই না ভাই। কয়টা ভাতের জন্য কতো কিছু করছি! জঙ্গলে মাছ ধরছি, আরেকজনের নৌকায় কামলা দিছি। দুবলায় মাসে ৫ হাজার টাকা বেতনে শ্রমিকের কাজ করছি। হরিণ শিকারীদের সাথে জঙ্গল করছি। আবার কখনও চলে গেছি চট্টগ্রামে। সেখানে ফেরি করছি। ঈদের সময় ফুটপাথে কাপড় বেচছি। কয়টা ভাতের জন্য কতো কিছু করা লাগছে ভাই! আর সেই ভাত যদি কেউ নষ্ট করে তখন কেমন লাগে বলেন? বললাম, সত্যিই তো। আর কিছু বলতে পারলাম না।
সর্দারের সাথে আমার পরিচয় সম্ভবত ২০১০ বা ২০১১ সালে। তখন নানা ভাবে কাজ করার চেষ্টা করছিলাম। সুন্দরবন তখনও দুর্বোধ্য এক দুনিয়া। কখনও মংলা দিয়ে, কখনও সাতক্ষীরা বা খুলনা দিয়ে বনে যাই। দস্যুদের সাথে কথাবার্তা বলছি। তখন রাজু, জুলফিকার আর মোতালেব ছিলো তিনটি বড় দস্যুদলের প্রধান। তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে গিয়ে কিছু সোর্সের সাথে সম্পর্ক হয়েছে।
সোর্স ও সহযোগীদের বেশির ভাগই বেশ গোলমেলে। অথচ বাধ্য হয়ে তাদের উপর ভরসা করতে হয়। এছাড়া যাদের নিয়ে কাজ করছি তাদের অনেকেই আমার নাম ব্যবহার করে সুবিধা নেয়। কেউ দস্যুদের কাছ থেকে টাকা তোলে। কেউ আমার নামে চাঁদা দেয় না। কেউ আবার আমার নামে চাঁদা তোলে। কাজগুলো বেশ জটিল এবং তা করতে গিয়ে নানা রকম প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছি। বদনাম ছড়াচ্ছে বেশি। একজন বিশ্বস্ত মানুষ খুঁজছিলাম তখন।
সে সময় মংলার সাংবাদিকরা আমাকে বেশ সহযোগিতা করতেন। বিশেষ করে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার হাসান ভাই বেশ সময় দিতেন। একবার তিনি আমাকে বেলায়েত সর্দারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তারপর ফোন নাম্বার বিনিময় করি। পরদিন যাই চিলা বাজারে।
চিলায় সর্দারের সাথে আরও কয়েক জনের সাথে পরিচয় হয়। মুকুল, বাদশা, আলী আজম, প্রশান্তসহ কয়েকজন তরুণ আমাকে ঘিরে থাকতো। সর্দারের নিজের কোনো ট্রলার ছিলো না। মুকুলের ছোট্ট ট্রলার নিয়ে আমরা মাঝে মাঝে সুন্দরবনে যেতাম। আর বেলায়েত সর্দার ছিলেন তাদের দলনেতা। একেবারেই প্রান্তিক সবাই। মাঝে মাঝে দেখা হয়। তবে বিশ্বাস করতে পারি না।
এর মধ্যে রাজু বাহিনীর প্রধান রাজুর সাথে দেখা হয়। সেবার রাজু তার লোকজন পাঠিয়ে আমাকে নিয়ে যায়। তখন কাউকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কাউকে কিছু জানাইনি। শুধু মাত্র মংলার সাংবাদিক হাসান ভাই জানতেন। সাথে করে নিয়েছিলাম মংলার আরেক সাংবাদিক নিজাম উদ্দীনকে। সে দফায় ফিরে সংবাদ করি। তারপর আবার যাই। নিয়মিত কাজ করি, খোঁজ খবর রাখি। বেলায়েত সর্দারের সঙ্গী সাথীদের নিয়ে কাজ করি। দেখি তাদের কেউ কেউ আবার আমাকে ব্যবহার করে অবৈধ সুবিধা নিচ্ছে। এ ভাবেই চলছিলো।
পরের বছর বেলায়েত সর্দার একটি ছোট্ট ট্রলার কিনেন। তারপর থেকে শুধু সর্দারের ট্রলারটিই ব্যবহার করতাম। সুন্দরবনে যাওয়ার সময় বাইরের কাউকে সাথে নিতাম না। কারণ ততোদিনে বুঝে গেছি বেলায়েত সর্দারই একমাত্র ব্যক্তি যিনি আমার কথা কাউকে বলতেন না। লাখ লাখ টাকা রোজগারের হাতছানি ছিলো। কিন্তু সেই ফাঁদে পা দেননি কখনও। মোটকথা আমার সাথে একাত্ম হয়ে গেছেন তিনি। সিডর পরবর্তী সময়ে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সাথে কাজ করেছেন তিনি। সাংবাদিকদের সাথে সম্পর্ক থাকায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কাজের সাথেও থেকেছেন।
এবিষয়ে সর্দার বললেন, ওই বিবিসির সাংবাদিকরাও আসে। তাদের কাজ আমার পছন্দ হয় না ভাই। বেশির ভাগ সাংবাদিক এসে কাজ করে চলে যায়। তারপর আর খুঁজে পাওয়া যায় না। একমাত্র আপনাকেই পেলাম যে বার বার আসে, কাজ করে, আমাদের সাথে মিশে! এছাড়া বনদস্যুদের নিয়ে কাজটি সফল হলে যে তাদের বিরাট উপকার হবে সে কথাও বুঝতে পেরেছেন তিনি। তাই তো ডাকা মাত্র হাজির হন। নিজের একমাত্র সম্পদ ওই ছোট্ট কাঠের ট্রলার নিয়ে ছুটে আসেন। আমাকে নিয়ে রাত বিরাতে ছুটে বেড়ান সুন্দরবনের আনাচে কানাচে। বড় বড় বিপদ কম যায়নি। তারপরও তিনি আমাকে ছাড়েননি।
সর্দারের একটি কাজ খুব ভালো লাগে। সেটি হলো বিপদে পড়া কাউকে উপেক্ষা করেন না শত্রু হোক, বন্ধু হোক, জঙ্গলে বা ডাঙ্গায়, কেউ বিপদে পড়লে তাকে সহযোগিতা করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। টাকা পয়সা দিয়েও এমন সহযোগিতা পাওয়া যায় না। ধরেন সাগরে বা সুন্দরবনে কোনো ট্রলার নষ্ট হয়েছে, কোথাও নৌকা ডুবি হয়েছে! ছুটে চলে যান সর্দার। দুবলার চরে কেউ অসুস্থ্য হলে তাকে নিয়ে নিজ খরচে পৌঁছে দেন বাড়ি। এমন অনেক ঘটনার সাক্ষী আমি।
বেলায়েত সর্দারের মতো মানুষেরা প্রতিবেশিদের চোখে পরোপকারী। আবার প্রশাসনের চোখে অপরাধী। কারণ ছোটবেলা থেকেই তারা সুন্দরবন ভিত্তিক অনিয়মে জড়িত। পেটের টানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তারপর আর ফিরতে পারে না। শুরুতে তার ট্রলারের কোনো অনুমতি ছিলো না। সুন্দরবনের নিয়ম কানুন মানতো না তারা। কিন্তু আমার চাপে নিয়মের মধ্যে আসেন সর্দার।
এরপর ট্রলারের নিবন্ধন করেন। অন্যদের মতো অনুমোদন নিয়ে সুন্দরবনে চলাফেরা করেন। বেলায়েত সর্দার এখন একজন মৌসুমী ব্যবসায়ী। কখনও মাছের ব্যবসা করেন, কখনও নিজে জাল ধরেন। মধুর মৌসুমে মৌয়াল হন। শুঁটকির মৌসুমে ছোটখাটো শুঁটকির কারবারী। প্রান্তিক পরিবারের বড় সন্তান বেলায়েত একজন মা অন্ত:প্রাণ মানুষ। মায়ের জন্য জীবন বাজি রাখেন। জীবনের সবটুকু দিয়ে থাকেন মায়ের পাশে। সর্দার বললেন, আগে ভালোই ছিলাম ভাই। আপনি আসার পর এসব নিয়ম কানুনের মধ্যে পড়লাম।
গল্পে গল্পে দুই ঘণ্টা কেটে গেলো। এর মধ্যে কয়েক দফা চা খেলাম। ওদিকে ভাত রান্না শেষ করে আওয়াজ দিলো মামুন। শহীদুল কাকা কাঁকড়া রান্না করবেন। তারপর খেতে বসবো। সর্দারের সাথে গল্প করতে করতে আমি অন্য জগতে চলে গিয়েছিলাম। হঠাৎ মনে পড়লো, এই খালে অনেকগুলো নৌকা ছিলো। সেগুলো গেলো কোথায়? এই খালে কি ভাড়ানী আছে? জেলেরা বললো ভাড়ানী আছে। তবে সেটা অনেক দূর। ট্রলার যাবে না। তবে ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে এদিক দিয়ে চাইলেবগী যেতে পারবেন। আরেকটা ভাড়ানী ফুঁড়ে ভদ্রায় যাওয়া যায়। আদাচাই থেকেও নাকী ভাড়ানী আছে। তবে সেই পথ জেলেরা তেমন একটা ব্যবহার করে না। তবে খালটি বেশ লম্বা। ভাটায় পানি থাকে।
ট্রলার ছাড়েন ভাই। একটু ভিতরটা দেখে আসি। সর্দার বললেন, এখন আবার কই যাবেন? ট্রলার তো বের হবে না। বললাম, যে পর্যন্ত যাওয়া যায় সেটুকু ঘুরে আসি। জেলেরা সব কোথায় গেলো দেখি!
ট্রলার ছাড়লাম। ধীর গতিতে চলছি। ডান বামের সরু খালগুলো শুকিয়ে গেছে। আরেকটু ভিতরে গিয়ে দেখি জেলেদের বহর। ডিঙ্গি নৌকা আছে না হলেও পঞ্চাশটি। এতো নৌকা একসাথে দেখে অবাক হলাম। রাতের অন্ধকারে ওদের চেহারা দেখছি না। তবে তাদের দৌড়-ঝাপ বুঝতে পারছি। কাছে গিয়ে থামলাম। জেলেরা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। নৌকাগুলোর সাথে ঘেঁসে দাঁড়ালাম। জানতে চাইলাম, এতো মানুষ একসাথে কী করেন? একজন বললো, ওদিকে খুব গোলাগুলি হচ্ছে!
(বেলায়েত সর্দারের জীবনের আরও গল্প আছে। রূপান্তরের গল্পে প্রাসঙ্গিক ভাবে আসবে সেই গল্পগুলো…. ডিসেম্বর ২০১৬, সুন্দরবন)