রাতেই উঠতে চায় আলিফ! | রূপান্তরের গল্প ৩৭৪ | Rupantorer Golpo 374 | দস্যুমুক্ত সুন্দরবন | সুন্দরবনের গল্প | জীবনে ফেরার গল্প | Jibone Ferar Golpo | Sundarbaner Goppo | Story of Sundarbans | মোহসীন উল হাকিম | Mohsin Ul Hakim
রূপান্তরের গল্প ৩৭৪ : তীব্র ঘামের গন্ধ। আলিফ ডাকাতের গা ঘেঁসে বসা যাচ্ছে না। কিন্তু করবো কী? সে আমার সাথেই সারাক্ষণ। ঘুরে ফিরে বসছে গা ঘেঁসে। এমনিতে সুন্দরবনের মানুষরা পরিশ্রমী। ঘামের দুর্গন্ধ হওয়ারই কথা। অভ্যস্ত আমি। জেলে হোক বা বনদস্যু, দিনে রাতে তাদের পানিতে নামতেই হয়। সময় মতো গোসলও সেরে নেয়। কিন্তু আলিফের এই বিষয়টি ঠিক বুঝতে পারছি না। হয় তো সাময়িক। হতে পারে শারীরিক কোনো সমস্যা।
সুন্দরবনের মানুষেরা সাবান ব্যবহার করে না। কারণ লবণাক্ত পানিতে সাবানের ফেনা হয় না। গোসলের সময় তারা কয়েকটি ব্রান্ডের সস্তা মিনিপ্যাক শ্যাম্পু ব্যবহার করে, যার দাম এক টাকা। গোসল সেরে গা মুছে ভালো করে সরিষার তেল দেয়। ওদের দেখলে আমাদের ছোট বেলার কথা মনে পড়ে। সুন্দরবনের মানুষেরা এখনও সেই পুরনো নিয়মেই চলে।
নোনা পানিতে গোসল শেষে তেল মেখে কিছুক্ষণ রোদে বসার অভ্যাসটাও আছে এখানে। তাই জঙ্গলের মাছ ধরা মানুষগুলো দিন শেষে বেশ পরিপাটি। ঘাম বা মাছের গন্ধ হারিয়ে যায়। বনদস্যুদের ক্ষেত্রেও ঘটে একই ঘটনা। তারা ওই মিনিপ্যাক শ্যাম্পু দিয়েই গোসল করে।
আলিফ দেখি একটু পর পর ডিওডরেন্ট বা বডি স্প্রে দিচ্ছে। বনদস্যুদের মধ্যে এই সুগন্ধি ব্যবহারের চল দেখছি আগে থেকেই। আলিফ বাহিনীর সদস্যদের প্রায় সবার কাছেই আছে বডি স্প্রে। কী কারণে তা ব্যবহার করে জানি না। হয়তো শখে। আমি ভাবছি আলিফের শরীর থেকে বোঁটকা গন্ধটা কেন আসছে! কিন্তু সে কথা কী জিজ্ঞেস করা যায়?
চা-আড্ডা চলছে। একে একে দস্যু দলের সবার সাথে কথা বলছি। ওদের জীবনের গল্পগুলো শুনছি। কারও বয়স পঞ্চাশের কোটায়, কারও বা কুড়ি ছুঁয়েছে মাত্র। সবার হাতে বন্দুক। কয়েকটি দোনলা বন্দুক আছে তাদের। বাকীগুলো একনলা। আলিফ এই অস্ত্রগুলো কিনেছে খুলনার কোনো এক অবৈধ অস্ত্রের কারবারীর কাছ থেকে। সেই কেনাকাটার মধ্যস্ততায় ছিলো জামু।
এখানে রেজাউল নামে যে সদস্য আছে তার বাড়িও এদিকেই। মনে হয় নামটা শুনেছি। গল্প করতে করতে তার বিষয়ে জানলাম। এই বনদস্যু এক সময় নিজের দল চালাতো। ছোট বাহিনী, অনেকটা ওই জোনাব বাহিনীর মতো। তারপর উঠে যায়, পলাতক ছিলো বছর দুই।
আত্মসমর্পণের খবর পেয়ে আবার ফিরে এসেছে রেজাউল। জঙ্গলে নতুন বাহিনী না করে ভিড়ে গেছে আলিফের সাথে। সেও তার দলের কয়েক জনকে নিয়ে আত্মসমর্পণ করতে চায়। এ দফায় বনে এসে লুকিয়ে রাখা অস্ত্রগুলো বের করে সে ঘুরতে থাকে। এক পর্যায়ে জামু ভাইয়ের মধ্যস্ততায় যোগ দেয় আলিফের সাথে।
আমরা গল্প করছি। তার মধ্য দিয়ে বুঝার চেষ্টা করছি দস্যুনেতার মতিগতি। অন্যদের চোখগুলোও পড়ার চেষ্টা করছি। সময়ের সাথে সাথে স্পষ্ট বুঝতে পারছি, আত্মসমর্পণ নিয়ে দুটি স্পষ্ট বিভাজন। মাত্র কয়জন মানুষ এই দস্যুদলে। তার মধ্যে কতো বিভক্তি। যদি এরা সবাই সারেন্ডার না করে তবে দস্যুদল একটি থেকে যাবে এই জঙ্গলে। হঠাৎ সন্দেহ হলো। জামু ভাই কোনো নতুন মতলব আঁটছে না তো? হতেও পারে আলিফকে হটিয়ে রেজাউলকে দিয়ে দল চালানোর পরিকল্পনা করছে সে? হয়তো বড় সাহেবদের কোনো ইন্ধন আছে! শংকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ এই দুনিয়া বড়ই জটিল।
কয়েকজন সশস্ত্র যুবক নিয়ে আলিফ বাহিনী। অথচ বাইরে থেকে মনে হবে না জানি কী বিশাল দস্যু বহর! আসলে এদের কাঁধে বন্দুক রেখে যারা গুলি করে, তাদের বড় বহরের প্রয়োজন নাই। একজন নাম-ডাক ওয়ালা দস্যুনেতা থাকলেই জমে ব্যবসা। ধরুন এই আলিফ নামটিই পশ্চিম সুন্দরবনকে সন্ত্রস্ত করার জন্য যথেষ্ট। আমার এখন আলিফকে নিয়েও দুশ্চিন্তা হচ্ছে। সারেন্ডারের আগে কোনো অঘটন ঘটলেও ঘটতে পারে। এখান থেকে ফেরার আগে সুযোগ মতো তাকে সতর্ক করতে হবে।
আরেক দফা চা আসলো। সুন্দরবনে চায়ের চল অনেক বেশি। দস্যুদের ডেরার চুলায় সারাক্ষণই চায়ের পানি তোলা থাকে। দুধ চা তৈরি করতে গিয়ে বাবুর্চি যা বানিয়েছে তা মুখে দেওয়া যায় না। এক গাদা দুধ আর চিনি দিয়ে ভরিয়ে রেখেছে। চুমুক দিয়ে ফেরত পাঠালাম। এবার রেগে গেলো আলিফ। গালি দিয়ে বাবুর্চিকে বললো, এই তোরা সরে যা! এক কাপ চাও বানাতে পারিস না! বলে নিজেই গেলো চুলার ধারে।
এদিকে আলিফের ভাইয়ের ডিঙ্গি নৌকাটি খোলা হলো। দুজন দস্যুকে নিয়ে তাতে চড়ে বসলো জামু ভাই। জানতে চাইলাম, কই যান? বললো, একটু ঘুরে আসি ভাই। আপনি রেস্ট নেন। নৌকাটি একটি ছোট্ট খালে গিয়ে ঢুকলো। আলিফকে বললাম, সবাইকে একটু সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এসে পড়লে দৌড়াতে পারবো না। এমনিতেই শরীর ভালো না। চায়ের কাপ হাতে নিয়ে পাশে বসলো আলিফ। বললো, চা খান বাবাজি। ওরা গেলো শিকারে।
কী বলো? শিকারে মানে? দস্যুনেতা বললো, জামু ভালো শিকার করে। জঙ্গলে আসলে ও যাবেই যাবে। বিরাট নেশা তার শিকার করা। বললাম, ওদের ফেরৎ আনো। আলিফ বলে, সকালে কিছু খাওয়াতে পারলাম না। সময়ও দেননি যে বাজার করায়ে আনবো। তো এখন একটা হরিণ না খাওয়ালে হয়? বললাম, আগে ওদের ফিরাও। আমার কিন্তু ভালো লাগছে না!
কয়েক বার হাঁকডাক দেওয়া হলো। এই পরিবেশে খুব জোরে চিৎকারও করা যাবে না। অন্য মানুষ জেনে যাবে। ভুল আমারই। আগেই নিষেধ করা লাগতো।
কাঁকড়ার জেলেরা গেলো কোথায়? নৌকা দুটোকে দেখছি না যে! আলিফ হেসে দিলো। বললো, জেলেদের বিশ্বাস করা যায় না। এরা নিমক হারাম! যতো কিছুই করি, যতো ছাড়ই দেই, কোনো কাজ হয় না। ওরা বেঈমানী করবেই।
দুজন বনদস্যু তৈরি হলো। একটি নৌকা নিয়ে ছুটলো ওরা। দুজনই বন্দুকধারী। মিনিট দশ ঘুরাঘুরি করে ফিরলো। বললো, জেলেরা নাই, পালায়ে গেছে!
আমার দিকে তাকিয়ে আলিফ বললো, দেখছেন বাপজান? ওরা দয়া মায়ার দাম দিলো? আমার কথা বাদ দেন। আমি তো ডাকাত। আপনি ওদের কাঁকড়া ধরার সুযোগ দিতে বললেন। ওরা সেই সুযোগে পালায়ে গেলো। এখন নেটওয়ার্কে গিয়ে ওরা প্রশাসনকে খবর দিয়ে দিবে।
তাহলে তো আর এই জায়গায় থাকা যাবে না! আশেপাশে কোস্টগার্ড বা RAB এর অফিস কতোদূর? নৌ পুলিশকেও খবর দিতে পারে। ওই কালিঞ্চিতেই একটা ক্যাম্প আছে ওদের। কইখালীতে বিজিবি ক্যাম্পও আছে। যেকোনো বাহিনী রওনা দিলে এই পর্যন্ত আসতে সময় লাগবে না। এখন জোয়ার চলে। স্পিডবোট বা ট্রলার নিয়ে টান দিলে বিরাট বিপদ হবে।
মুহুর্তেই ব্যস্ততা বেড়ে গেলো। দস্যু দলের সকলে সতর্ক অবস্থানে গেলো। আমরা এই জায়গা ছাড়বো। কোথায় যাবো জানি না। এখন তা জানার দরকারও নাই। আলিফ বাহিনীর দস্যুরা সবাই অস্ত্র হাতে নিলো। গুলির চেস্বার চেক করলো। কোমড়ে ঝুলালো গুলির পোসেস।
নোঙর উঠলো। লগি দিয়ে ঠেলে ঠেলে আগাচ্ছে ট্রলার। পেছনে আমাদের নৌকাটি বাঁধা। আমরা আছি গুব্দে খালে। এই খাল ধরেই এগুবো জোয়ার ধরে। দ্রুত জায়গা পরিবর্তন করা দরকার। কিন্তু এখন ট্রলারের ইঞ্জিন চালানো যাবে না। শব্দে আমাদের অবস্থান জেনে যাবে আশপাশের যে কেউ। স্রোতের সাথে ভাসছি আমরা। ছোট খালটি ধরে যাচ্ছি পূর্ব দিকে।
মামদো নদীর পশ্চিমে রায়মঙ্গল। পূর্ব দিকে মালঞ্চ। আমরা আছি মামদো আর মালঞ্চের মাঝামাঝি জঙ্গলে। এই খালটি ঘুরেফিরে চলে গেছে মালঞ্চ নদীতে। আমরা অতোদূর যাবো কী না জানি না।
হঠাৎ মনে পড়লো পলিনের কথা। ট্রলারে নাই। দেখি পেছনের নৌকার ছইয়ের ভেতরে তার পা দেখা যায়। মানে ঘুম দিয়েছে সে। আচ্ছা ঘুমাক। এখানে নৌকা উল্টানোর শংকা নাই। কুমিরও তেমন আসে না। তবুও পলিনকে ডাক দিলাম। এসময় মনে পড়লো জামু ভাইরাও তো সাথে নাই। শিকারে গেলো ওরা। কী টেনশনের ব্যাপার! আলিফ বললো, কখন ফিরবে তার ঠিক আছে? ওদের জন্য দাঁড়ালে ঝামেলায় পড়বো। ওই কাঁকড়ার জেলেরা যদি কাউকে বলে দেয় তাহলে সমস্যা হবেই হবে।
কোনো একটা ট্যুর আমার ঝামেলা ছাড়া শেষ হয় না। এবারও তাই হলো। এখন কোনো বাহিনী যদি অপারেশনে নামে? আলিফ বললো, সমস্যা হবে না বাপজান। কেউ সামনে চলে আসলে আমরা দেখবোনে। আপনি শুধু জঙ্গলে উঠে দাঁড়াবেন। বড় কোনো গাছের আড়ালে শরীরটা রাখবেন। বাকীটা আমরা দেখবোনে। কোনো টেনশন নাই। এই জঙ্গলে এসে প্রশাসন আমাদের সাথে কুলাতে পারবে না। আর জায়গা বদলায়ে ফেলছি।
আমরা কোথায় যাবো এখন? থাকবো কোথায়? জামু ভাইদের সাথে আমাদের দেখা হবে কোথায়, কখন? ওরা তো শিকারে গেলো। ফিরে তো ওরা আমাদের খুঁজবে। পাবে কী করে? আমরা কোথায় থাকবো দিন শেষে তা ওরা জানবে কী করে? এছাড়া কোনো বাহিনী যদি খবর পায়, তারা তো খালের ওই জায়গাতেই আসবে। কী যে হয়!
সুন্দরবনে বাপজান কতো কিছু হয়! টেনশন করলে চলে? ওদের আমরা পেয়ে যাবো। এরপর হেঁটে সামনে চলে গেলো। আরেকটু এগিয়ে একটি পাশখালে ঢুকলাম। মিনিট পাঁচ পর থামলাম। এখানে একটি বড় বাইন গাছ আছে। তার সাথে বাঁধা হলো ট্রলার। আপাতত আমরা এখানেই থাকবো।
দুপুর গড়িয়ে গেছে। রান্না চড়ানোর নির্দেশ দিলো দস্যুনেতা। চুলায় আগুন জ্বালিয়ে ভাত চড়ানো হলো। তারপর বাবুর্চি এসে দাঁড়ালো। বললো, ভাত তুলছি। তরকারি রাঁধবো কী দিয়ে? আলিফ বললো, দেখি শিকারীরা কী পায়! আমি বললাম, শিকার করা হরিণ দিয়ে ভাত খাবো না আমরা। আর কিছু না পেলে মরিচ ভর্তা দিয়ে খাবো। ডাল আছে না? বাবুর্চি বললো, ডাল আছে, আলু আছে। আর কিছু নাই। বললাম, তাহলে আলি ভর্তা করো, আর ডাল করো।
বাবুর্চি চলে গেলো চুলার পাশে। এসময় নৌকা থেকে ডাক দিলো পলিন। বললো, রাতে আসার সময় জামু ভাই কিছু বাজার তুলছিলো নৌকায়। বলেই উঠে দাঁড়ালো সে। পাশের জন এসে নৌকার ছইয়ের নিচের পাটাতনগুলো তুললো। ভেতর খেকে বের হলো বাজারের ব্যাগ। কম কম করে অনেক কিছুই আছে।
মজার ব্যাপার হলো, নৌকার তলায় দুটি রাজহাঁস রাখা! পলিন বললো, গোলাখালী থেকে এগুলো তুলছিলো ভাই। বলেই লম্বা হাত বাড়িয়ে সেগুলো বের করলো। বাবুর্চির মুখে হাসি ফুটলো। আলিফ বললো, এখন আপনি একটু রেস্ট নেন। বললাম, রেস্ট নেওয়ার পরিবেশ আছে এখানে?
আলিফ গেলো হাত মুখ ধুতে। বললাম, গোসল করে নাও। সে বললো, গোসল পরে করবো বাপজান। দলের অন্যরা যে যার মতো গোসল সেরে নিলো। দুজনকে পাঠানো হলো খালের মাথায়। ওরা ডিউটিতে বসবে। জামু ভাইরা যদি এদিক দিয়ে ফিরে তবে ডেকে নিবে। সন্দেহজনক কিছু দেখলে জানাবে। এর মধ্যে শিকারীরা না ফিরলে সন্ধ্যার পর ডিঙ্গি নৌকাটি বের হবে। যাবে আগের জায়গায়। বললাম, যে করেই হোক ওদের নিয়ে আসবে।
জামু ভাইকে ছেড়ে আমি ফিরবো না। কারণ এর মধ্যে কোনো অঘটন ঘটলে তার দায় আমাকেই নিতে হবে। আলিফ বললো, চোর ডাকাত মরলে কিছু হয় না বাপ! বললাম, একটা লোককে বাড়ি থেকে নিয়ে আসছি। তাকে বাড়ি ফিরিয়ে না নিলে চলে? কেউ কিছু না বলুক, নিজের বিবেকের কাছে কী জবাব দিবো? আলিফ বললো, সবার বিবেক যদি এমন কাজ করতো তাহলে কতো ভালো হতো! বললাম, সবার কথা বাদ দাও। তুমি আগে ভালো হও। সারেন্ডারের সুযোগ হাতছাড়া করো না।
আলিফ একটু কাছে এসে বসলো। কানে কানে বললো, এখন কি সারেন্ডার করা যাবে? বললাম, যাবো। সে বললো, যদি এখন উঠি, আজকে রাতে উঠি তাহলে? বললাম, আমি তো ওদিকে কাউকে কিছু বলে আসিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানাইনি। উঠলেই তো হবে না। ওদিকের প্রস্তুতিও তো থাকতে হবে। এতো তাড়া কেন?
আলিফ বললো, তাহলে ফিরে কথাবার্তা বলেন। দিন তারিখ ঠিক করেন। তারপর নিয়ে যান। যদি ততোদিন বেঁচে থাকি তো অবশ্যই সারেন্ডার করবো। বললাম, কী বলো? উত্তর দেওয়ার আগেই এক দস্যু সামনে আসলো। আলিফ থেমে গেলো। প্রসঙ্গ পাল্টালাম আমি। বললাম, তুমি কি গোসল করো না? গায়ে এতো গন্ধ কেন? আলিফ বললো, না বাজান। আমার একটু সমস্যা আছে। অনেক দিন হলো গোসল করি না!
কি বলবো বুঝতে পারছি না। এসময় পলিন এসে পাশে দাঁড়ালো। আলিফ বললো, বাহ দুজনের দাঁড়ি-গোঁফ একই রকম! চলেন সেলফি তুলি! তিনজন মিলে পোজ দিলাম, ছবি তুললাম।
(২৫ জানুয়ারি ২০১৭, সুন্দরবন)
ছবি: পলিন, আলিফ আর আমি