রূপান্তরের গল্প ৩৮৪ | Rupantorer Golpo 384

প্রথম গন্তব্য ভদ্রা | রূপান্তরের গল্প ৩৮৪

প্রথম গন্তব্য ভদ্রা | রূপান্তরের গল্প ৩৮৪ | Rupantorer Golpo 384 | দস্যুমুক্ত সুন্দরবন | সুন্দরবনের গল্প | জীবনে ফেরার গল্প | Jibone Ferar Golpo | Sundarbaner Goppo | Story of Sundarbans | মোহসীন উল হাকিম | Mohsin Ul Hakim


রূপান্তরের গল্প ৩৮৪ : জাহাঙ্গীর ডাকাতকে আজ নিয়ে আসবো। সেই নাটা জাহাঙ্গীর। যার তান্ডবে সুন্দরবন তো বটেই, বঙ্গোপসাগরের জেলেরাও তটস্ত। গত কয়েক মাস ধরে তার বিষয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট বেশ নেতিবাচক। এবিষয়ে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও চিন্তিত। তিনি বার বার এই দস্যুদলটিকে আত্মসমর্পণ করানোর কথা বলেন। কিন্তু এর মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলো।

জাহাঙ্গীরের বিষয়টি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছিলাম। তারপর আবার কোত্থেকে কী হলো! দুই তিন দিনের মধ্যে সবকিছু উল্টে পাল্টে গেলো। অবশ্য তার ফলাফল ভালোই হতে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত দেখা হচ্ছে ভয়ঙ্কর ওই দস্যুনেতার সাথে। সবকিছু ঠিক থাকলে কালই আত্মসমর্পণ করবে।

আমি আছি টান টান উত্তেজনার মধ্যে। দুশ্চিন্তায় ভেতরটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেকথা কাউকে বলতে পারছি না। বুঝাতেও পারছি না যে আজকের সফরটি সফল নাও হতে পারে। তবুও চেষ্টা চলছে। এই মুহুর্তে জাহাঙ্গীরের পরিবারের লোকজন নিয়ে অপেক্ষা করছি বাগেরহাট পিরোজপুর মহাসড়কে, একটি চায়ের দোকানের সামনে।

ও ভাই, এতো ঘন ঘন ঢাকা যান কেন? আপনি থাকলে এই বিপদে পড়া লাগে? দস্যুনেতা জাহাঙ্গীরের ছোট স্ত্রী ময়না দুপুরেও এই প্রশ্নটি করেছিলো। তখন উত্তর দেওয়া হয়নি। তার ধারণা আমি সুন্দরবনের আশেপাশে কোথাও থাকি। বললাম, আমি কে বলেন তো? কী করি জানেন? ময়না বললো, আপনি তো প্রশাসনের লোক! আমার কথা মনে নাই? ওই যে বিয়ের আগে ফোনে কথা হলো! আপনার কথাতেই তো আমি বিয়ে করতে রাজি হলাম।

বললাম, ও যে সুন্দরবনের ডাকাত সেটা জানতেন না? বললো, জানতাম বলেই তো বিয়ে করতে চাইনি। পরে আমার বাপ মাকে রাজি করালো। কিছু টাকা দিলো মায়ের কাছে। তারপর সবকিছু তারাই করলো। আমাদের কথা শুনে পাশে দাঁড়ানো RAB এর গোয়েন্দারা হাসছেন। আমিও হাসলাম। বললাম, আমার সম্মন্ধে আপনার জামাই কিছু বলেনি?

ময়না বললো, ওই ডাকাতের কথার কোনো ঠিক ঠিকানা আছে? কখন কী বলে সে তো নিজেও জানে না। বললাম, তারপরও তাকে বিয়ে করলেন যে! তার আগের বিয়ের কথা আমি জানতাম না। আপনি জানতেন? বললো, সবই জানি। এখন আমার বাপ মা বিয়ে করতে বললো! তখন বিয়েতে বসলাম।

চায়ের দোকানীর চোখে সন্দেহজনক দৃষ্টি। কারণ সেই বিকাল থেকে কাপের পর কাপ চা খাচ্ছি। সাথে দুই গাড়ি ভর্তি অচেনা মানুষ। সবাই এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করছে। দোকানদার বললেন, আপনেরা কী কাজে আসছেন? বললাম, একটা বিয়ের কথাবার্তা চলছে। উনি বললেন, কোন জায়গায়, কোন গ্রামে?

হুট করে কোনো ভুল কথা বলা যাবে না। সন্দেহ হয় এমন কিছুই করা যাবে না। বললাম, ঢাকা থেকে আসছি। ওদিকে বরিশাল থেকে আরও লোকজন আসবে। ওরা আসলে একসাথে রওনা দিবো। পিরোজপুর শহরেই আমাদের প্রোগ্রাম। দোকানী জানতে চাইলেন, পিরোজপুর সদরে হলে আপনারা এখানে দাঁড়াইছেন কেন? শহরে গিয়ে দাঁড়ান!

দেন আরেক কাপ চা। আপনারা দুধ চা করেন না কেন? কথা ঘুরানোর চেষ্টা করলাম। দোকানী বললেন, এদিকে সবাই লাল চা খায়। আপনাদের সাথে ওই মহিলা কে? আত্মীয়? বললাম, বিয়ের কথা বার্তায় বাড়ির মহিলাদের না আনলে চলে? এরপর উল্টো তার খবর জিজ্ঞেস করলাম।

খামোখা সন্দেহ বাড়তে দেওয়া যাবে না। দিনের বেলা হলে সমস্যা ছিলো না। গ্রামের দিকে রাতের আঁধারে বড় ঝামেলা বাধতে সময় লাগে না। দোকানী বললেন, দোকান বন্ধ করবো এখন। আপনারা যান। শীতের রাত। এদিকে কিন্তু মানুষ থাকবে না। রাতের বেলা শুধু পুলিশের টহল থাকে।

জায়গাটির নাম জানি না। চারপাশে বিস্তীর্ণ মাছের ঘের। মাঝ দিয়ে চলা সড়কটি বেশ সুন্দর। বাগেরহাট থেকে পিরোজপুরের এই রাস্তায় এখনও গাড়ির চাপ নাই। সারাদিনই বেশ নিরিবিলি থাকে। এই পথ ধরে অসংখ্য বার যাওয়া আসা করেছি। কিন্তু দাঁড়ানো হয়নি। এদিকের মানুষ কথা বলে বরিশাল আর খুলনার মিশেল ভাষায়। শুনতে ভারী মিষ্টি লাগে। সহকর্মী পলিনের বাড়িও বরিশাল। তাকে ডাক দিয়ে বললাম, সবাইকে গাড়িতে উঠতে বলেন।

রওনা হলাম পিরোজপুর শহরের দিকে। পলিন বললো, আমরা বাগেরহাটের দিকে গেলে পারতাম না ভাই? উল্টো দিকে যাচ্ছি কেন? বললাম, খুলনার আইন শৃংখলা বাহিনীগুলোর চোখে পড়া যাবে না। বাগেরহাট জেলার সীমানা পর্যন্ত তাদের কাজের এলাকা। পিরোজপুর পড়েছে বরিশাল বিভাগে। খুলনার লোকজন সহজে বরিশাল বিভাগে আসবে না।

অন্যদিকে মাঠ পর্যায়ের সোর্সরা সব পিরোজপুর জেলার অথবা বরিশাল বিভাগের। বুঝতে পারছেন কেন এদিকে আসছি? পলিন বললো, এবার বুঝছি ভাই। তাহলে চলেন শহরের দিকে যাই। ওখানে আমাদের সহকর্মী শুভ বাবু ভাই আছে। তার সাথে গিয়ে আড্ডা দেই। বললাম, বরিশালের মেজর আদনানরা এখন বেকুটিয়া ফেরি পার হচ্ছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের সাথে দেখা হবে।

কিছু দূর এগিয়ে একটি ছোট বাজার পড়লো। সেখানেই দাঁড়ালাম। মিনিট কুড়ি পর আসলো RAB এর গাড়ি বহর। আমাদের সাথে থাকা জাহাঙ্গীরের পরিবারের গাড়িটি যুক্ত হলো ওই বহরে। মেজর আদনান বললেন, আমরা কয়টায় রওনা দিবো ভাই? বললাম, রাতের ভাটায় মংলা ছাড়বো। রাত একটার মতো বাজবে। আধা ভাটিতে ছাড়বো। যাতে প্রথম জোয়ারে ভদ্রা নদীতে থাকতে পারি। উনি বললেন, কোথায় থাকবে ওরা? বললাম, আপাতত এটুকুই। আর কিছু জানায়নি।

RAB এর এক কর্মকর্তা বললেন, ট্রলার কি দুইটাই লাগবে ভাই? বললাম, সেটা আপনাদের ব্যাপার। আমাদের ট্রলার রেডি হচ্ছে। আপনারা একটা নিলেই হবে। মংলায় অসংখ্য ট্রলার আছে। কিন্তু হুট করে সেগুলো পাওয়া যায় না। বিশেষ করে আইন শৃংখলা বাহিনী চাইলে ট্রলার মালিকরা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তার কারণও আছে। বললাম, আমি কি কোনো ট্রলার মালিকের সাথে কথা বলবো?

মংলার এক সোর্সকে ফোন দিলাম। তার নিজের একটি ট্রলার আছে। বললাম, কাউকে কিছু বলবেন না। কোনো রকম আওয়াজ ছাড়া আপনার ট্রলারটি রেডি করেন। সে বললো, বরিশাল RAB থেকে ফোন দিছিলো ভাই। আমি না করে দিছি। আপনি যাবেন? বললাম, আমি যাবো না। মেজর আদনান যাবেন। আপনি ট্রলার নামান।

আমতা আমতা করছে সে। বললাম, এখন জোয়ার চলছে, ট্রলারটা ভাসায়ে রাখেন। কোনো রকম বাহানা শুনতে চাই না। সে বললো, আপনি বলছেন এখন ট্রলার একটা না আরও চারটা লাগলে ব্যবস্থা করবো। ফোন রেখে মেজর আদনানকে বললাম, ট্রলার কি একাধিক লাগবে? না কী একটাতেই হবে? একটাতে চললে তৈরি আছে। উনি বললেন, আমরা তো যাবো আর আসবো। একটাই থাকুক। পরে সেই সোর্সকে ফোন করে বললাম, যাওয়া আসা ১০-১২ ঘণ্টা চলার হিসাব করে তেল তুলে নেন।

খাবার দাবারের ব্যবস্থা কিন্তু নাই। এই রাতে চুলা, বাজার বা বাবুর্চি কিছুই পাওয়া যাবে না। মেজর আদনানকে বললাম, যাওয়ার পথে রাতের খাবার খেয়ে নিও। আর শুকনা খাবার আর পানি নিও। আদনান বললেন, অসুবিধা নাই ভাই। আমরা সবকিছু নিয়ে আসছি। সাথে বাজারও আছে। রাতটা কাটিয়ে দেওয়া যাবে। সমস্যা হবে না।

কিছু জরুরি কথা সেরে নিলাম। বললাম, জাহাঙ্গীর তার পুরো পরিবারকে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু তাকে বিশ্বাস করতে পারছি না। কী করবো এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। আদনান বললেন, খোঁজ খবর যা পাচ্ছি তাতে সমস্যা করার কথা না। চলেন আগাই। তারপর যা হবার হবে। ওরা রওনা হলো। জাহাঙ্গীরের স্ত্রী আর তার পরিবারের চোখে ভয়ের ছাপ। অভয় দিলাম। বললাম, পেছনে পেছনে যাচ্ছি আমরা।

বেলায়েত সর্দারের সাথে কথা বলতে হবে। ওদিকে সব ঠিকঠাক আছে কী না জানা দরকার। কিন্তু সর্দারকে ফোনে পাচ্ছি না। বেশ কয়েক ঘণ্টা হলো তার ফোন বন্ধ। আর কাউকে ফোন দিচ্ছি না। কারণ আমাদের এই সফরের কথা আর কাউকে জানানো যাবে না। কিছুতেই না।

দড়াটানা সেতু পার হলাম। বাগেরহাট থেকে সহকর্মী ইয়ামীন ভাই উঠলেন। তারপর কাটাখালী গিয়ে বিরতি নিলাম। আমরা এখানেই খেয়ে নিবো। সামনের কোনো বাজারে দাঁড়াবো না। কারণ এদিকের যেকোনো বাজারে দাঁড়ালেই পরিচিত লোকজনের সাথে দেখা হয়ে যায়।

এখন সময় রাত নয়টা। হাতে অনেক সময়। RAB এর গাড়ি বহর থামবে মংলায়। সেখানে বন বিভাগের একটি গেস্ট হাউজ আছে। ওখানেই বিরতি নিবে তারা। আমরা যাবো আরও পরে। আমার ওই সোর্সকে ফোন করলাম। বললাম, আমিও যাবো। নামবো বেলায়েত সর্দারের ট্রলারে। আপনি একটু মটর সাইকেলটা নিয়ে টান দেন। চিলা বাজারে যান।

আর কিছু বলতে হলো না। মিনিট চল্লিশ পর ফোন দিলো সেই সোর্স। ওপাশে বেলায়েত সর্দার। বললাম, ফোনে পাচ্ছি না যে! এমনিতেই টেনশনের শেষ নাই। সর্দার বললেন, ফোনটা চার্য এ দিলাম ভাই। মংলার চিলা বাজারের ওদিকে এখনও বিদ্যুৎ যায়নি। চার্য দেওয়ার কাজ চলে সৌর বিদ্যুতে। ইদানিং কুয়াশা বেড়েছে বলে রোদ হচ্ছে না। তাই মোবাইল ফোন চার্য দিতে একটু সিরিয়ালে পড়তে হয়। জেনারেটর চালানোর মতো আর্থিক সক্ষমতা নাই ওদিকের মানুষদের।

সর্দারকে বললাম, রাত ১২টার দিকে মংলায় চলে আসেন। আধা ভাটায় ট্রলার ছাড়বো। সর্দার বললেন, সবকিছু রেডি আছে ভাই। কিন্তু সাথে করে নেওয়ার মতো কাউকে পাচ্ছি না। নতুন কাউকে নিবো? বললাম, যাচ্ছি জাহাঙ্গীরের আস্তানায়। এখানে কী হবে এখনও জানি না। যদি সে পাল্টি দেয়? যদি গোলাগুলি হয়? তখন কী হবে? সর্দার বললেন, যদি তেমন কাউকে না পাই তো নিবো না। বললাম, আমরা আছি। সহযোগিতা করবোনে। কিন্তু ওই রড ঘুরায়ে ইঞ্জিন চালাতে পারবো না। পাশ থেকে ইয়ামীন ভাই বললেন, আমি আছি ভাই। ওই দায়িত্ব আমার।

আসলে সুন্দরবনে হুট হাট করে ঢোকা যায় না। অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়। সুন্দরবনে যাওয়া, থাকা এবং ফিরে আসার মধ্যে অসংখ্য কাজ থাকে ট্রলারে। সেই কাজের জন্য একজন দক্ষ সগযোগী লাগেই। কিন্তু আজ রাতে আর কিছু করার নাই।

খাওয়া দাওয়া করে রাত দশটার দিকে রওনা হলাম। কাটাখালী থেকে মংলা ঘাট পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগলো এক ঘণ্টা। তারপর গাড়ি পার্ক করে অপেক্ষা করলাম। রাত ১২টার একটু আগেই আসলো আমাদের ট্রলার। ওদিকে RAB এর ট্রলারটিও প্রস্তুত। সময় হলেই ছুটবো আমরা একসাথে। আসার সময় এক তরুণকে ঘুম থেকে তুলে এনেছেন সর্দার। এই সফরে সে আমাদের সহযোগিতা করবে। সর্দার বললেন, একজন না থাকলে ঘণ্টায় ঘণ্টায় চা বানাবে কে?

রাত ১২টার দিকে ফোন দিলো জাহাঙ্গীর। জানালো ওদিকে সব ঠিকঠাক আছে। এদিকের খবর জানালাম তাকে। বললো, ময়নার সাথে একটু কথা বলবো ভাই। ওর ফোন বন্ধ। ফোন ধরিয়ে দিলাম। ওরা প্রয়োজনীয় কথাবার্তা সেরে নিলো।

জাহাঙ্গীর বললো, সবাইকে নিয়ে আসবেন ভাই। আবারও বললাম, গুষ্টিশুদ্ধা আনবো। আপনি থাকেন। আপাতত আর কোনো কথাবার্তার দরকার নাই। ফোন রাখেন! ফোন রাখার আগে শুধু বললো, ভদ্রা থেকে আদাচাইয়ের ভাড়ানীতে ঢুকবেন। আমি সিগন্যাল দিবো।

আমাদের ট্রলারের বৈশিষ্ট জানিয়ে দিলাম। একটু অন্য রকম দেখতে এই ট্রলার। সামনে লাল আর সবুজ সিগন্যাল বাতি জ্বলবে। ভেতরে আর কোনো লাইট জ্বলবে না। আমি থাকবো গলুই-এ। একাই দাঁড়ানো থাকবো। আপনার টর্চের ইশারা পেলে পাল্টা দুই বার টর্চ জ্বালাবো। তারপর ইঞ্জিন নিউট্রালে দিবো।

রাতের অন্ধকারে আমরা কেউ কাউকে দেখবো না। তাই সঠিক সময়ে সঠিক জায়গা অতিক্রম করাই প্রথম কাজ। তারপর আলোর ইশারা। এরপর কথোপকথন। দূর থেকেই এসব করতে হয়। ইশারা বিনিময়ে কোনো ব্যাত্যয় না হলে তারপর তারা সামনে আসে। সুন্দরবনের দস্যুদের সাথে দেখা করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যেখানে সিগন্যাল দেওয়ার কথা সেখানে তাদের পাই না। এক দুই ঘণ্টা পরে ওরা দেখা দেয়। আসলে আগেই ওদের লোকজন থাকে। দূর থেকে আমাদের অনুসরণ করে। দেখা করার ক্ষেত্রে কোনো রকমের ঝুঁকি নেয় না। কারণ, এটা জীবন মরণের ব্যাপার।

আধা ভাটা হয়ে গেছে। এর মধ্যে মালপত্র সব ট্রলারে উঠলো। জাহাঙ্গীর ডাকাতের পরিবারের সদস্যরা উঠলো RAB এর ট্রলারে। দুটি ট্রলার পাশাপাশি, একসাথে রওনা দিলো। পশুর নদীর মাঝামাঝি গিয়ে ওদের পিছু নিতে বললাম। আপাতত আমরা যাচ্ছি ভদ্রা নদীতে।

(২৮ জানুয়ারি ২০১৭, মধ্যরাত, ভদ্রা নদী, সুন্দরবন)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top