রূপান্তরের গল্প ৩৮৭ | Rupantorer Golpo 387

অস্ত্র চাপানো বাইন তলায় | রূপান্তরের গল্প ৩৮৭

অস্ত্র চাপানো বাইন তলায় | রূপান্তরের গল্প ৩৮৭ | Rupantorer Golpo 387 | দস্যুমুক্ত সুন্দরবন | সুন্দরবনের গল্প | জীবনে ফেরার গল্প | Jibone Ferar Golpo | Sundarbaner Goppo | Story of Sundarbans | মোহসীন উল হাকিম | Mohsin Ul Hakim


রূপান্তরের গল্প ৩৮৭ : এই, তোমরা নৌকা রেডি করো… দস্যুনেতার অর্ডার! সাথে সাথে নড়ে চড়ে উঠলো জেলেরা। জাহাঙ্গীর বললো, ভালো দেখে একটা নৌকা বের করো। সবার সামনের নৌকাটি গোছানো হলো। দস্যুনেতা বললো, তোমাদের যাওয়ার দরকার নাই। ভাগ্নে বাছের এগিয়ে এলো। বললো, আরেকটা নৌকা যাক মামা! বললাম, দুই নৌকা যাওয়াই ভালো। কিন্তু সাথে যাবে কে কে?

পাশ থেকে হাত তুললো ময়না। বললো, আমাকে না নিয়ে যাবেন না কিন্তু ভাই! বললাম, এই বন্দুক-গুলির মধ্যে যাওয়ার দরকার নাই। এখানেই থাকেন। আমি যাচ্ছি। ময়না নাছোড়বান্দা। জাহাঙ্গীর কিছু বলছে না। বললাম, জঙ্গলে কোনো ঝামেলা হলে করবেন কী? দৌড়াদৌড়ি করা লাগলে, কী করবো? পেছন থেকে বেলায়েত সর্দার বললো, ও ভাবী আপনি গেলে আমাদের কী হবে? এতোগুলো দেবর আছি এখানে। রান্নাবান্নাও তো করতে হবে।

ট্রলারের ডেক-এ হেলান দিয়ে বসা সর্দার। ঘুম ঘুম চোখ। বললেন, আমি আজ রান্না করতে পারবো না। যা করার ময়না ভাবী করবে। দস্যুদলের সদস্যরা মুখ টিপে হাসছে। হাজার হলেও লিডারের স্ত্রী! আমি বললাম, আমরা যাবো আর আসবো। আপনারা এখানেই থাকেন। সবাই চোখ কান খোলা রাখবেন। ময়না ভাবী ট্রলারেই থাকবে। রান্নাবান্নার কাজে সহযোগিতা করবেন।

প্রয়োজনীয় কিছু জিনিষপত্র সাথে নিতে ট্রলারে গেলাম। শীতের কাপড়, পানির বোতল আর এক প্যাকেট বিস্কিট নিলাম। ওদিকে বনদস্যুরাও প্রস্তুতি নিচ্ছে। দুই নৌকায় সশস্ত্র দস্যু যাবে ছয় জন। সাথে জাহাঙ্গীর আর আমি। ওরা বলছে দুই ঘণ্টার পথ। বেলায়েত সর্দার বললেন, ওদের কথায় ভুল করা যাবে না ভাই। আসা যাওয়া তিন ঘণ্টার বেশি হবে। বেশি করে পানি নিয়ে যান।

আবার উঠলাম ট্রলারে। সামনে রাখা কয়েকটি পানির বোতল তুলে নিলাম। ওরা ধরে নৌকায় তুলে দিলো সেগুলো। ছইয়ের ভেতরে আরও খাবার রাখা আছে। ভেতরে ঢুকে দেখি সহযাত্রীরা সবাই ঘুম।

সহযাত্রীরা সবাই বিশ্রামে। গভীর ঘুম। শীতের ভোরে রীতিমতো নাক ডাকা ঘুমে সবাই। ভাবছি, হঠাৎ কেউ আক্রমণ করলে কী হবে ওদের? যেকোনো মুহুর্তে দলের মধ্যেও বন্দুক যুদ্ধ লাগতে পারে। ভবলাম, ডেকে তুলি। আবার মনে হলো ঘুমাক ওরা। আজ পুরো দিন কাজ করতে হবে। আমার শরীরটাও বিশ্রাম চায়। কিন্তু সেই সুযোগ আজ পাবো না।

ওদিকে দস্যুদের ট্রলারে ব্যস্ত সবাই। পাশেই বেশ কয়েকটা ডিঙ্গি নৌকা। জেলেরা অবাক। কী চলছে এখানে ঠিক বুঝতে পারছে না। বাছেরের কাছে জানতে চাইলাম, ওরা কি সব ধরা জেলে? মানে অপহরণ করছিলা? বললো, জ্বি মামা। দুই দিন আগে ধরা। আজ যাওয়ার আগে ছেড়ে দিবো। জেলেরা অবাক হয়ে শুনছে। মনে মনে কী ভাবছে বুঝতে পারছি না। এখন বুঝতে চাইও না। হাতে অনেক কাজ।

নৌকা প্রস্তুত। সামনের নৌকায় আমি আর জাহাঙ্গীর। পেছনেরটাতে বাছেরসহ চারজন। সকলেই সশস্ত্র। নৌকায় উঠেই বন্দুক আর গুলি চেক করে নিলো ওরা। সুন্দরবনের দস্যুদের এমন সশস্ত্র যাত্রায় অনেক বার সঙ্গী হয়েছি। অনেক বার বলতে অসংখ্য বার। এমন ঝুঁকিপূর্ণ সফরকে আর ভয়ের সফর মনে হয় না। নৌকা ছাড়ার আসে ট্রলার থেকে মারুফ নামের এক বনদস্যু বললো, ভাই কি খালি হাতে যাবে? বললাম, আমার হাতে ওসব দিয়ে লাভ নাই। চালাতে পারি না।

হো হো করে হেসে উঠলো ময়না। বললো, আপনাকে দিয়ে কিছু হবে না ভাই। এতো বছর জঙ্গলে আসেন, বন্দুক চালাতে পারেন না? বললাম, আপনি তো সবই চালাতে পারেন। ময়না বলে, তাইলে আমাকে নিয়ে যান ভাই। আপনার পেছনে বসে থাকবো, আপনার বডিগার্ড হবো। বললাম, নোয়া বাহিনী যখন আক্রমণ করলো তখন তো লেজ তুলে পালাইছিলেন। জাহাঙ্গীর বললো, তখন তো ভাই সাথে বাচ্চাও ছিলো। না হলে দেখতেন কী করতাম। ওদের একজনকেও বাঁচতে দিতাম না। সবগুলোকে ওই শিবসায় পানি মাপতে পাঠাতাম। বললাম, পরে আপনারাও তো আক্রমণ করলেন। কারও গায়ে একটা গুলিও লাগেনি। শুধু ট্রলারটা নিয়ে আসছেন। জাহাঙ্গীর বলে, কয়টা বন্দুকও ছিলো। বললাম, অনেকগুলো গুলিও তো আনছেন সাথে। পেছন থেকে বাছের বললো, ওই বন্দুকগুলোও চাপানো আছে মামা। এখন যাচ্ছি সেখানে।

একটি একনলা বন্দুক দেওয়া হলো। আমার জন্য একনলা বন্দুকই ভালো। দস্যুনেতা বললো, আপনি আমার শর্টগানটা নেন ভাই। বললাম, একনালা বন্দুকই ভালো। গুলি ভরা বন্দুকটি নিয়ে পাশে রাখলাম। গোলাগুলি লাগলে কী করবো জানি না। তবে হাতে থাকলে মনে সাহস থাকবে। বললাম, কয়টা গুলি দেন। পকেটে রাখি। অবৈধ বন্দুক হাতে রাখাটা আমার জন্য বেশ অস্বস্তির। কিন্তু জীবনের নিরাপত্তার কথাও ভাবতে হয়। হুট করে একটা ঝামেলা হলে জঙ্গলের ভেতর দৌড়াতে হবে। বাঘের সামনে পড়লে আর কিছু না হোক, ভয় তো দেখাতে পারবো। মানে বাঁচার জন্য এই অনিয়মটুকু করছি, এসব বলে সান্তনা দিচ্ছি নিজেকে।

দস্যুদের মূল বহর ছেড়ে রওনা হলাম। খালে এখন পূর্ণ জোয়ার। যাওয়া আসা সহজ হবে। ছোট খালগুলোতে পানি ভরা থাকলে সুবিধা। তবে এই সময় অন্যদের সাথে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অন্য দস্যুদল হোক কিংবা আইন শৃংখলা বাহিনী, সকলেই এসম চলাফেরা করে। জাহাঙ্গীর বললো, জেলেদের নৌকাও কিছু সামনে পড়তে পারে। বললাম, আমি যদি আইন শৃংখলা বাহিনীর লোক হতাম তাহলে জেলে সেজে বসে থাকতাম। সামনে পড়লেই আপনাদের উপর গুলি চালায়ে দিতাম। জাহাঙ্গীল বলে, আপনার মতো লোক থাকলে আমাদের সমস্যা হতো। এই জঙ্গল এতো করে আর কে চিনে আমরা ছাড়া?

ছোট খাল থেকে বের হলাম। মাঝারি খালটি ধরে এবার দক্ষিণের পথ ধরলাম। শীতের ভোর। আলো ফুটতে সময় লাগবে। এর মধ্যেই আমাদের জায়গা মতো পৌঁছাতে হবে। বললাম, নৌকায় কি চুলা আছে? চায়ের ব্যবস্থা আছে? পেছন থেকে বাছের বললো, এই নৌকায় ব্যবস্থা রাখছি মামা। আপনি চা খাবেন? চা চড়াবো এখন? বললাম, এই শীতে চায়ের কথা বলা লাগে?

সরসর করে বইছে স্রোত। সুন্দরবনের এই অঞ্চলের খালগুলো ভীষণ বন্য, অন্য রকম। বনদস্যুদের নৌকা বহর চলছে তার ভেতর দিয়ে। তাও আবার যেমন তেমন দস্যুদল না। এটা জাহাঙ্গীর বাহিনী। যার দাপটে বনের এই অঞ্চল তটস্থ এখন। শুধু বনজীবীরা না, বনবিভাগের লোকজন আর ছোট ছোট দস্যুদলগুলোও এদের এড়িয়ে চলে।

পূর্ব আকাশে হাল্কা আলোর ছটা। নৌকা চলছে দক্ষিণে। একটু পর ভাটা শুরু হবে। তখন সুজন স্রোতে চলবো আমরা। মানে স্রোতের সাথে সাথে চলে নৌকা। এর মধ্যে চা হয়ে গেছে। ওই নৌকা থেকে একটি থালায় করে কয়েক কাপ চা পাঠানো হলো। কড়া লাল চা। আমার একদম পছন্দ না। কিন্তু এই পরিবেশে একটু গরম চা পাচ্ছি সেটাও কম না। চায়ের কাপে ছোট ছোট চুমুক আর বইঠার ছপ ছপ শব্দে অদ্ভুত এক পরিবেশ। যে কারও কাছে এই পরিবেশটি হয়তো ভয়ঙ্কর মনে হবে। কিন্তু আমি এতে অভ্যস্ত। চায়ের কাপে চুমুকের সাথে আবার ছোট ছোট করে গল্প চলছে। জাহাঙ্গীর বলছে, নোয়া মিয়াকে মারতে দিলেন না ভাই। আর কিছুদিন জঙ্গলে থাকলে ওদের না মেরে উঠতাম না।

গত তিন মাসে সুন্দরবনের এই অঞ্চলে অনেকগুলো পরিবর্তন এসেছে। মাস্টার থেকে শুরু করে কয়েকটি দস্যুদলের নিয়ন্ত্রণ ছিলো এখানে। একে একে তারা সবাই সারেন্ডার করেছে। সবশেষ নোয়া বাহিনী করলো আত্মসমর্পণ। জাহাঙ্গীর বাহিনীর আক্রমণে দিশেহারা হয়ে উঠেছে তারা। এর কিছুদিন আগে আদাচাই ফরেস্ট অফিসের সামনে নোয়া মিয়ারা আক্রমণ করেছিলো জাহাঙ্গীর বাহিনীর উপর। সেই বন্দুকযুদ্ধে পরাস্ত হয় তারা। তারপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে জাহাঙ্গীর।

ভাবছি এরা আজ সারেন্ডার করবে। কিন্তু মধ্য সুন্দরবনে এরপর কারা নিয়ন্ত্রণ নিবে? জানতে চাইলাম, ফারুক আর তার লোকজন কোথায়? ওরা তো আপনাদের সাথেই ছিলো। জাহাঙ্গীর বললো, ওদের অস্ত্রগুলো সব আমার কেনা। আট-দশ জন মিলে ভদ্রার উত্তরে ডাকাতি করে। ওকেও ধরার ইচ্ছা ছিলো ভাই। কিন্তু তার আগেই সারেন্ডার করতে হচ্ছে। বললাম, আপনার তো সারেন্ডার করার কথা ছিলো না।

এখন যেহেতু সিদ্ধান্ত নিলেন, আগের কথা আর মনে রাখার দরকার নাই। নিজে বাঁচেন, দলের লোকজনগুলোকেও বাঁচান। আপনার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে কিন্তু ফারুকরা পালাইছে। ছোট রাজু আর সাত্তারও পালিয়েছে আপনার অস্ত্র নিয়ে। ওরা দলের ভেতরে গোলাগুলি করলে কী করতেন?

ঘণ্টা খানেক এক ভাবেই চলছি। বললাম, আর কতোদূর? জাহাঙ্গীর বললো, ভুল খালে ঢুকে পড়ছি মনে হয়। এতোক্ষণে তো চলে আসার কথা। বললাম, এখন আর নতুন কোনো টেনশন দিয়েন না। বললাম, দাঁড়ান এখানে। আগে রাস্তা নিশ্চিত হন।

একটি পশুর গাছের নিচে দাঁড়ালাম। বাছের বললো, আমাকে বলেন কোন খালে যাবেন। জাহাঙ্গীর বললো, ওমুক খালের আগায় একটা দোঢালা আছে না? সেখানে গোলপাতার একটা বড় ঝাড় আছে। কেওড়া বাগান আছে তার উল্টো পাশে একটা বড় বাইন গাছ আছে না? বাছের বললো, চিনছি মামা। নৌকা ঘুরান।

উল্টো পথ ধরলাম। কিছু দূর এগিয়ে আরেকটি খালে ঢুকলাম। তারপর আরেকটি খাল। এরপর আবারও একটা ছোট্ট খালে ঢুকলাম। এই ভাড়ানী ধরে সামনে গিয়ে আরেকটি ছোট খাল পড়বে। সেই খালের মাথায় ওই দোঢালা। কোথায় আছি কিছুই বুঝতে পারছি না। বাছেরের সাথে চোখাচোখি হলো। বুঝলাম, জায়গাটি সে ভালো করেই চিনে। বাছের বলে, বললেই হতো, বাইনতলায় যাবে!

আধা ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে গেলাম জায়গা মতো। গোলপাতার ঝাড় পেরিয়ে ঝুপ করে নেমে পড়লো জাহাঙ্গীর। বাইন গাছটির নিচে গিয়ে দাঁড়ালো। বললো, তোমার এখানে থাকো। আমি নিয়ে আসছি। সন্দেহ হলো। আমি নিশ্চিত একা গেলে সে সবগুলো অস্ত্র আনবে না। একটা বন্দুক হলেও রেখে আসবে সে। জাহাঙ্গীরকে আমি ভালো বুঝি। ওকে বিশ্বাস করি না। বাছেরকে ইশারা করলাম। দস্যুনেতাকে থামালাম। বললাম, আমিও যাবো। সে বললো, আপনি পারবেন না ভাই। বললাম, তাহলে সাথে দুইজনকে নিয়ে যান।

আপত্তি শুনলাম না। জোর করে দুজনকে নামালাম। সাথে নামলো বাছের। নামার সময় সে বললো, আপনার বন্দুকটা হাতে রাখেন মামা। এই জঙ্গলে পাশের লোকে কী করবে কেউ জানে না। বললাম, খুব বেশি হলে মেরে ফেলবে। এর চেয়ে বেশি আর কী হবে? বলেই দুই নৌকার সবার দিকে তাকালাম। ওরা বললো, কী যে বলো তোমরা? ভাইয়ের সাথে আমাদের পরিচয় অনেক বছরের। তার ক্ষতি কেউ করবে না।

তাতে অবশ্য আশ্বস্ত হলো না বাছের। ফিরে আসলো নৌকায়। আমার পাশে বসলো, বন্দুক লোড করে। বললো, তোমরা কিছু করবা না জানি। কিন্তু অন্য কেউ তো অ্যাটাক করতে পারে। কোনো চোরা শিকারী সামনে পড়তে পারে। একটা বাঘ এসে পড়তে পারে। তখন তো আর কেউ মামার খবর রাখবা না। পালাবা সবাই।

আধা ঘণ্টার ব্যাপার। জায়গাটি বেশি দূরে না। মাটি খোঁড়াখুঁড়ির শব্দ পাচ্ছি। এর মধ্যে আরেক দফা চা বিস্কিট খেয়ে নিবো। চা উঠলো। কাঁধের ব্যাগ খুঁজে একটি গুঁড়া দুধের প্যাকেট পেলাম। বললাম, একটা দুধ চা করে দিও। আমার কিন্তু শুধু দুধ চায়ে নেশা!

ফিরলো ওরা। ততোক্ষণে আলো ফুটেছে। কাদা মাখা শরীর। খালের পানিতে ধুয়ে উঠে পড়লো জাহাঙ্গীর। সাথে দুটি পলিথিনের প্যাকেট। মনে কয় কম-বেশি দশটি বন্দুক আছে তাতে।

অস্ত্রগুলো কী ভাবে পেয়েছে, কার কাছ থেকে কিনেছে, কতো টাকায় কিনেছে এসব নিয়ে জানতে চাইলাম। জাহাঙ্গীর বললো, মেলা টাকা লাগে ভাই। ডাকাতি করে যা রোজগার করি তার ষাট ভাট টাকাই চলে যায় অস্ত্র আর গুলি কিনতে। এতো টাকা খরচ করলাম। এখন আপনি এসে সব নিয়ে যাবেন।

হেসে দিলাম। বললাম, অস্ত্র আর গুলিগুলো কি আমি বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি? সব তো আপনিই জমা দিবেন আজ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে জমা হবে সব। দস্যুনেতা বললো, মেজর হান্নান স্যারের সাথে দেখা হবে তো আজ? বললাম, সে তো মেজর হান্নান না, আদনান। ওরা আছে ভদ্রা নদীর ওই মাথায়।

খট করে আওয়াজ হলো। সাথে সাথে সবার হাত চলে গেলো বন্দুকের ট্রিগারে। কী হলো? ঘটনা কী? মাথা ঝুঁকিয়ে বসে পড়লাম। বাঘ নাকী? বাছের বললো, না মামা শুয়োর মনে হয়! আরেকজন বলে, মামাও হতে পারে। চারপাশে পিন পতন নিরবতা!

(২৭ জানুয়ারি ২০১৭, ভোরবেলা, সুন্দরবন)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top